ডিব্রুগড় জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মানবাধিকার দিবস পালন

এম হাশিম আলি, সংবাদদাতা, ডিব্রুগড়, আসাম (ভারত) থেকে : দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ডিব্রুগড়তেও জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়। প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তা সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এই দিবসটি উদযাপন করা হয়। সরকারসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও মানবাধিকার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে এবং মানবাধিকার রক্ষার লক্ষ্যে এই দিবসটি উদযাপনে অংশগ্রহণ করে আসছে। উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালে মানবাধিকার সম্পর্কিত সর্বজনীন ঘোষণা গ্রহণ করার পর ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।এই উদ্দেশ্যে, ডিব্রুগড় জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বোরবোরুয়া উন্নয়ন খণ্ডের অধীন কাচাবাড়ি আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আজ মানবাধিকার দিবস পালিত করা হয়। “মৌলিক অধিকার ও কর্তব্য” বিষয়ক সচেতনতা সভায় সম্পদ ব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিব্রুগড় কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও সমাজকর্মী ড. রঞ্জিত সিনহা। তিনি ১০ ডিসেম্বরের তাৎপর্যসহ ভারতের সংবিধান প্রদত্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।ড. সিনহার পাশাপাশি অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরাও মত প্রকাশ করেন যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়ালের বাসভবনের পাশ দিয়ে যে সড়কটি গিয়েছে বিশেষ করে রেলগেটের অংশটি তা পথচারীদের অনেক সুবিধা দিয়েছে। আগে এই পথ অতিক্রম করতে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট সময় লাগত। তারা প্রশ্ন তোলেন, জরুরি অবস্থায় যদি কোনো গর্ভবতী মহিলাকে এই পথ দিয়ে যেতে হয়, তবে কী হবে? তারা আরও উল্লেখ করেন যে সেখানে মাত্র একজন পুলিশ কর্মী থাকায় পরিস্থিতি ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের স্থানীয় পিএলভি কর্মী প্রসান্ত শইকিয়ার উপষ্তিতিতে অনুষ্ঠিত ওই সচেতনতা সভায় সমাজকর্মী লীলা শইকিয়া, স্বাস্থ্যকর্মী মমি গগৈ, রুনুমি দত্ত শইকিয়া, আঙ্গনওয়াড়ি কর্মী প্রবন্তি বরা দেওড়ি এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম. হাছিম আলি মানবাধিকার সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। একই অনুষ্ঠানে ভারতের সংবিধানের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয়সমূহ নিয়ে তাৎক্ষণিক কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন অঞ্জলি দত্ত, পঙ্কিলতা সোনোয়াল এবং জনালি গগৈ ডেকা।



