বাংলাদেশ

গর্জনিয়া ফাঁড়ি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন ‘চরম মিথ্যাচার ও অপপ্রচার’-বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার :কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িকে নিয়ে কিছু অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনকে ‘চরম মিথ্যাচার, অসৎ উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার ও সুনাম ক্ষুণ্নের গভীর ষড়যন্ত্র’ বলে তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফাঁড়ির ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো লিখিত প্রতিবাদে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগসমূহ ‘কল্পনাপ্রসূত, ভিত্তিহীন, যাচাইবাছাইহীন এবং ব্যক্তিগত মানহানির উদ্দেশ্যে সাজানো।’

ইনচার্জ শোভন কুমার সাহার বক্তব্য
প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন,
“দায়িত্বকালীন সময় সীমান্ত এলাকায় অবৈধ কার্যক্রম রোধে নিয়মিত অভিযান ও টহল জোরদার করেছি। কোনো অবস্থাতেই চোরাচালান বা চাঁদাবাজির মতো অপরাধে আমার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পৃক্ততার প্রশ্ন ওঠে না। সংবাদে প্রকাশিত তথ্য ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিকৃতি’ ছাড়া আর কিছু নয়।”

তিনি আরও দাবি করেন, একটি সংগঠিত স্বার্থ মহল পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর নাম জড়াচ্ছে।
“যারা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করত, তাদের বিরুদ্ধেই পূর্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন তারাই প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে,” বলেন তিনি।

জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার প্রতিক্রিয়া
পুলিশের এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
“পুলিশের নাম ব্যবহার করে কেউ অনিয়ম করলে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হয়। সংবাদে যেসব তথ্য এসেছে, সেগুলো আমরা যাচাই করছি। মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কেউ দায় এড়াতে পারবে না।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি)–এর মন্তব্য
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ও মিডিয়া ফোকাল অলক বিশ্বাস বলেন,
“অভিযোগ সত্য বা মিথ্যা—সবকিছুই তদন্তসাপেক্ষ বিষয়। প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে প্রচার চালানো আইনবিরোধী। সাংবাদিকতাকে দায়িত্বশীল হতে হবে, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঘিরে সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে।”

সামাজিক ও স্থানীয় মহলের প্রতিক্রিয়া
গর্জনিয়া এলাকার কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করে জানান, সাম্প্রতিক সংবাদের কারণে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ তদন্তের দাবি জানালেও অনেকে মনে করেন—অপপ্রচার ছড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা উচিত নয়।

স্থানীয় এক সমাজকর্মী বলেন,
“গণমাধ্যম যদি তথ্য-প্রমাণ ছাড়া সংবাদ প্রকাশ করে, তা সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করে। অভিযোগ থাকলে সঠিক প্রক্রিয়ায় তদন্ত হওয়া উচিত—এটাই প্রত্যাশা।”

গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীলতার আহ্বান
জানিয়ে ইনচার্জ শোভন কুমার সাহা সংশ্লিষ্ট অনলাইন মাধ্যমগুলোর প্রতি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,
“অসত্য তথ্য ছড়িয়ে পুলিশকে লক্ষ্যবস্তু করলে তা শুধু প্রতিষ্ঠানকে নয়, দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকেও আঘাত করে।

Related Articles

Back to top button