রাজনীতি

অর্থ নয়-যোগ্যতা ও আস্থা হোক ঢাকা-১৮ আসনের মূল মানদণ্ড

এস.এম.নাহিদ: রাজধানীর রাজনীতিতে প্রতিটি পদক্ষেপই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তার মধ্যে ঢাকা-১৮ আসন কৌশলগতভাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ,এখানকার নেতৃত্ব দেশের বৃহত্তর জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে। তাই এখানে মনোনয়ন নির্বাচন করতে হবে সুপরিকল্পিত মূল্যায়নের মাধ্যমে। শুধু টাকার শক্তি বা প্রচারণার চাকচিক্য যথেষ্ট নয়,প্রয়োজন যোগ্যতা,জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং আস্থার দৃঢ় ভিত্তি।

বছরের পর বছর ঢাকা-১৮ আসনের ভোটাররা ভুগছেন জলাবদ্ধতা, যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরবস্থা, স্বাস্থ্য-শিক্ষায় ঘাটতি ও আধুনিক নাগরিক সেবার সীমাবদ্ধতায়। নির্বাচন এলেই প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়, কিন্তু পরে অনেককেই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই ভোটারদের প্রত্যাশা এখন স্পষ্ট-যিনি পাশে থাকবেন, যাকে পাওয়া যাবে প্রতিদিন, তিনিই হবে প্রকৃত প্রতিনিধি।রাজনীতির মাঠে যারা স্বার্থের বাইরে থেকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকেছেন, দুর্দিনে সহযোগিতা করেছেন, জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন-মনোনয়ন বাছাইয়ে মূল্যায়ন হোক সেই পরিশ্রমী পথচলার। কারণ আস্থা জন্মায় সময়ের সঙ্গে, দীর্ঘ প্রতিষ্ঠিত যোগাযোগ ও আন্তরিকতার ভিত্তিতে।

ঢাকা-১৮ আসনের নেতৃত্ব নির্বাচনে বড় পোস্টার নয়,কাজের ইতিহাসই বড় প্রমাণ। উন্নয়ন ভাবনা, তৃণমূলের সঙ্গে গভীর সংযোগ, সমস্যা বোঝার সক্ষমতা এবং জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক-এই চার স্তম্ভই হতে পারে কারো যোগ্যতার সঠিক পরিচয়পত্র।রাজনীতির সমসাময়িক বাস্তবতায় দলগুলো যদি জনগণের বার্তা উপলব্ধি করে, তবে তারা দেখবে ভোটাররা বদলে গেছেন। এখন শুধু কথার প্রতিশ্রুতি নয়, প্রয়োজন কাজের ফলাফল। শুধু বুলিবাজি নয়, চাই আস্থার গ্যারান্টি।

ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়নের যোগ্য তিনি-যার কাছে ভোটাররা নিশ্চিন্তে বলতে পারেন-তিনি আমাদের মানুষ।যিনি ক্ষমতার জন্য নয়,মানুষের জন্য রাজনীতি করেন।কারণ অর্থ একসময় শেষ হয়ে যায়;কিন্তু যোগ্যতা ও আস্থা টিকে থাকে, উন্নয়ন আনে, ভবিষ্যৎ গড়ে।তাই এবার ঢাকা-১৮ আমাদের দেখাক-অর্থের নয়, যোগ্যতা ও আস্থারই জয় হোক।

Related Articles

Back to top button