কয়েকজন জেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাকে পদচ্যুত করলেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

টাইমস ২৪ ডটনেট: প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের অতর্কিত হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়া’য়াল জামির। চাকরিচ্যুত এই সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক, সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের শীর্ষ কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার আছেন বলে জানা গেছে। পদচ্যুত কয়েকজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা না হলেও তাদের ব্যাপকভাবে তিরস্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যে কোনো সময় তাদেরকে সেনাবাহিনীর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।পরে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়া’য়াল জামির বলেন, “ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর প্রধান দায়িত্ব ইসরায়েলের নাগরিক ও জনগণকে নিরাপত্তা প্রদান, তাদের রক্ষা করা। এদিক থেকে বিবেচনা করলে ৭ অক্টোবর হামলা ঠেকাতে আইডিএফের পদচ্যুত কর্মকর্তাদের প্রত্যেকেই গুরুতর, প্রশ্নাতীত এবং ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ৭ অক্টোবর আমাদের বিরাট শিক্ষা দিয়েছে এবং এই শিক্ষা ভবিষ্যতে আমাদের নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।”গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভূমি, স্থল ও আকাশপথে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস এবং প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৫০ জনকে। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসরায়েলের ইতিহাসে এটা ছিল সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা।অতর্কিত এই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দুই বছর ধরে অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতিতে যায় ইসরায়েল এবং হামাস।ইসরায়েলি বাহিনীর দুই বছরের অভিযানে নিহত হয়েছেন ৬৯ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন প্রায় পৌনে দুই লাখ। সেই সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা।
সূত্র : রয়টার্স।



