জাতীয়

মোটা অংকের টাকা দাবিতে টিআই জলিলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

ঢাকার ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা সামাজিক ও পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ণের শিকার

রানা মিয়া, উত্তরা প্রতিনিধি: ঢাকার ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) জলিলের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী আছিয়া খাতুন ঝিনুক ওরফে মায়া থানায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে কোনো প্রমাণ নেই এবং এটি সামাজিকভাবে টিআই জলিলকে হেয় করা ও পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, আছিয়া খাতুন ঝিনুকের পূর্বে একবার বিবাহ হয়েছিল, যা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তার আগের স্বামীকেও তিনি বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। বর্তমানে ঝিনুক কিছুদিন ধরে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে মোটা অংকের অর্থ দাবি করতে শুরু করেন তার স্বামী টিআই জলিলের কাছে। টিআই জলিল সেই অর্থ প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর সম্পর্কের টানাপোড়েন বৃদ্ধি পায় এবং অভিযোগটি সেই বিরোধের জেরেই তৈরি হয়েছে।

সরজমিনে জানা গেছে, টিআই জলিল দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে সততা, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা “নির্যাতন” বা “যৌতুক দাবি” সম্পর্কিত অভিযোগের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। অভিযোগপত্রের বর্ণনা অসংলগ্ন এবং প্রমাণহীন। কোনো চিকিৎসা রিপোর্ট, দৃশ্যমান আঘাতের প্রমাণ বা স্বাধীন সাক্ষীর অভাব থাকলেও অভিযোগটি সত্যি মনে করানোর প্রচারণা চালানো হয়েছে। তাছাড়া, তাঁর সহকর্মীরা জানিয়েছেন, টিআই জলিল সবসময় দায়িত্বশীল এবং সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন; তাঁর পেশাগত আচরণ নিয়ে কখনো কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।

টিআই জলিল বলেছেন, “আমি কখনো আমার স্ত্রীকে নির্যাতন করিনি বা যৌতুক দাবি করিনি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি স্বচ্ছল। বরং দীর্ঘদিন ধরে আমার ওপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। টাকা না দিলে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। মাঝে মাঝে সে আমাকে হুমকি দিতো, আমার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা এবং যৌতুকের মামলা দেবে। তাছাড়া, আমার মা ও দুই সন্তানদের বাসায় সে জায়গা দিত না। তাই গত ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ইং আমি নিরুপায় হয়ে ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৭(১) বিধান অনুযায়ী আমার স্ত্রীকে আইনগতভাবে তালাকের নোটিশ প্রদান করি। একারণেই শুধুমাত্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করা এবং পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ণ করতেই এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”

গোপন তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, আছিয়া খাতুন ঝিনুক বিভিন্ন অনলাইন নিউজকর্মীদের টাকা দিয়ে কয়েকটি নিউজ করিয়েছেন টিআই জলিলের মানহানি করার জন্য। এই সংবাদগুলো কোনো সত্য নির্ভর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়নি এবং সামাজিক ও পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। আইনি পথে এই ধরনের ভুয়া সংবাদ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

Related Articles

Back to top button