আদর্শের কফিনে পেরেক ঠুকছে খিলক্ষেতের রাজনীতি!

এস.এম.নাহিদ: বাংলাদেশের রাজনীতিতে দল পরিবর্তন নতুন কিছু নয়। কিন্তু সম্প্রতি খিলক্ষেতে একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলে নীতিহীন ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া রাজনৈতিক সংস্কৃতির এক উদ্বেগজনক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। একটি ঐতিহ্যবাহী দলের মূল শক্তি তার আদর্শ, নীতি ও জনবিশ্বাস। যখন কোনো দল নীতির চেয়ে ব্যক্তিগত প্রভাব, অর্থবল বা সাময়িক জনপ্রিয়তাকে প্রাধান্য দেয়, তখন তা দলের ভেতরকার আদর্শিক কাঠামোকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে ত্যাগী ও আদর্শবাদী নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা জন্মায়, আর সাধারণ মানুষের চোখে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
রাজনৈতিক বাস্তবতায় কেউ কেউ যুক্তি দেন—নির্বাচন জিততে প্রভাবশালী বা বিতর্কিত ব্যক্তিদের গ্রহণ করা কৌশল হতে পারে। কিন্তু এমন কৌশল দীর্ঘমেয়াদে দলের প্রতি জনআস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। জনগণ আজ খুব সচেতন। তারা দেখে কোন দল নীতির পক্ষে দাঁড়ায়, আর কোন দল স্বার্থের রাজনীতি করে।
রাজনীতি যদি সত্যিই জনগণের সেবার মাধ্যম হয় তবে দলের নেতৃত্বের উচিত সুযোগসন্ধানীদের নয়, নীতিনিষ্ঠ ও আদর্শবান কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া। অন্যথায় ঐতিহ্যের গৌরব ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাবে, আর দল হারাবে জনগণের বিশ্বাস।



