উত্তরখান থানার ওসির বিরুদ্ধে আসামি ছাড়ার অভিযোগ
স্থানীয়রা বলছেন: মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেন ও জামায়াত নেতা তাজুল ইসলামের প্রভাব

রানা মিয়া : রাজধানীর উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)-এর বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে আসামি মুক্তি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বচ্ছ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের হোসেন আপনকে সম্প্রতি পুলিশ আটক করে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী আদালতে প্রেরণ না করে রাত আটটার দিকে তাকে থানা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেন ছাড়াও এ মুক্তির পেছনে জামায়াত নেতা তাজুল ইসলামের প্রভাব ছিল। স্থানীয়রা বলছেন, ওসির প্রত্যক্ষ নির্দেশে এবং রাজনৈতিক চাপের কারণে আইনানুগ প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে আসামি মুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগের সমর্থনে এলাকাবাসী ছাত্রলীগের অফিসিয়াল প্যাডে প্রকাশিত কমিটি তালিকা ও কয়েকটি ছবি তুলে ধরেছেন। সেখানে জুবায়ের হোসেন আপনকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে উত্তরখান থানার ওসি আসামি আটক করার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে কেন তাকে মুক্তি দেওয়া হলো সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদালতের আদেশ বা প্রক্রিয়া ছাড়া আসামি মুক্তি দেওয়া হলে তা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এলাকাবাসীর দাবি, “যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অপরাধীদের ছাড়পত্র দেন, তবে আইনের শাসন ভেঙে পড়বে। তাই এ ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”