চর নাজিমুদ্দিনে বাড়ীর গাছ-কাটা ও মারপিটের ঘটনায় আদালতে মামলা।। তদন্তের নিদেশ পেয়েছেন চরফ্যাসন থানা
মামার খরিদা বাড়ী ঘর জবর দখলে রাখতে চান সন্ত্রাসী ভাগ্নে সিরাজ গংরা

মীর সাজু, চরফ্যাশন থেকে : অপ্রিয় হলেও সত্য যে খরিদা বাড়ীর গাছ-গাছালী কাটার সময় বাঁধা দিতে গেলে আসামী সিরাজ গংরা মারপিটের মাধ্যমে মোবাইল ছিনতাই করে নেয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। গত ১৫/০৯/২০২৫ইং তারিখে জনৈক আঃ মন্নান মিয়া বাদী হয়ে উপজেলার উত্তর চর নাজিমুদ্দিন সাকিনের মৃত হাজী আবুল হাসেম মাঝির সন্ত্রাসী স্বভাবের পুত্র মোঃ সিরাজ (৪০), মোঃ রাকিব (২১) ও মোঃ মাসুদ (১৯) উভয় পিতাঃ মোঃ সিরাজ গংদের কে বিবাদী করে ১৪৩/৩২৩/১৭৯/৪৪৭/৫০৬ (খ) দঃ বিঃ আইনে মোকাম চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিঃ আদালতে মামলাটি দায়ের করিলে আদালত উহার শুনানী শেষে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চরফ্যাসন থানাকে নির্দেশ দেন। স্থানীয় সূত্রে এবং অভিযোগের বিবরণে প্রকাশ, বিগত ২৬/০২/২০১৩ইং তারিখে চরফ্যাসন সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের ৯৮৮নং দলিল মূলে ১নং আসামী মোঃ সিরাজের ভাই মোঃ বাখেরের নিকট হইতে বাদী মোঃ আঃ মন্নান মিয়া ৩২ শতাংশ জমি খরিদ সূত্রে মালিক নিযুক্ত হন। একই তফসিলে উক্ত দাতা মোঃ বাখের জনৈক মোঃ ইমন মিয়ার নিকট ২৬/০৪/২০১৬ইং তারিখে চরফ্যাসন সাব রেজিস্ট্রার অফিসের ২২২৬নং কবলা দলিলে “১৩” “১” /”২” শতাংশ জমি বিক্রয় করেন। বাদী পরবর্তীতে খরিদা মালিক মোঃ ইমন মিয়ার নিকট হইতে গত ২৭/০৯/২০১৭ইং তারিখে ৪৬৮৪নং কবলা দলিল মূলে উক্ত “১৩” “১” /”২” শতাংশ জমি খরিদ করেন। তাহাতে অত্র বাদী মোঃ আঃ মন্নান মিয়া (৩২+১৩ “১” /”২” )= একুনে ৪৫”১” /”২” শতাংশ জমির মালিক নিযুক্ত হন এবং ভোগ দখলে থাকেন। উক্ত ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ীতে সাড়ে পচিশের বন্ধের ১টি টিনের ঘর থাকায় উহা ১নং আসামী মোঃ সিরাজ দাবী করায় ঘরটির মূল্য ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা নির্ধারন করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে বাদীর নিকট বিক্রি করেন। তবে, বাদীর ব্যবসা বানিজ্য নদীরপাড়ে হামিদপুর সাকিনে থাকায় সে (বাদী) তাঁর পুরান বাড়ীতে থাকেন। তাহাতে চর নাজিমুদ্দিনের খরিদা বাড়ীতে সৃজিত গাছ গাছালী বিভিন্ন সময় আসিয়া দেখেন ও রক্ষনাবেক্ষণ করেন। কিন্তু আসামীগন বিভিন্ন সময় বাদীপক্ষের অনুপস্থিতির সুযোগে তার বাড়ীর নারিকেল, সুপারী চুরি করিয়া নিয়া যান। তাহাতে বাদীর সাথে আসামীগনের মত বিরোধ থাকায় ঘটনার তারিখ গত ০৩/০৮/২০২৫ইং বর্নিত আসামী মোঃ সিরাজ, রাকিব ও মাসুদ গংরা সহ অজ্ঞাত নামা আরো আসামীগন দা, ছেনী, খন্তা, কুড়াল, বোট করাত ও নসিমন গাড়ী সহ ঘটনাস্থলে আসিয়া ৫টি রেন্ট্রি গাছ, প্রতিটি ৪০,০০/- টাকা মূল্যের ১০টি মেহগনি প্রতিটি ১৫০০/- টাকা মূল্যের বোট করাত দিয়া ডোম করিয়া নিয়া যাইতে লইলে বাদী তার বড় ছেলে ১নং স্বাক্ষী মোঃ সোহেল সংবাদ পাইয়া উক্ত কাটাগাছ গুলো নিতে বাঁধা দিলে আসামী সিরাজ গংরা বাদী ও তার পুত্র সোহেলকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারিয়া বিভিন্ন হুমকি দেন। তখন মানিত স্বাক্ষীগন ও আশ পাশের লোকজন আসিয়া বাঁধা দিয়ে গাছগুলো আটকে রাখেন। আসামী সিরাজ গংরা অন্যায় ভাবে বাদীর গাছ গুলো কাটিয়া আরো ২০,০০০/- টাকার ফলজ গাছ নষ্ট করিয়াছেন। এ সময় ২নং আসামী মোঃ রাকিব বাদীর ছেলে ১নং স্বাক্ষী মোঃ সোহেলের হাতে থাকা ৪০,০০০/- টাকা মূল্যের ১টি ভিবো মোবাইল ছিনতাই করিয়া নিয়ে যান। পক্ষান্তরে আসামী সিরাজ গংরা বাদীর গাছ কাটার মামলার ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে পড়েন এবং উল্টো মিথ্যা ঘটনা রটনা করে কাউন্টার মামলা করার ঘোষণা দেন। এর আগেও বাদী তার খরিদা সম্পত্তি থেকে উৎখাত চেষ্টায় আদালতে একটি মিথ্যা নাটকীয় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গাছ কাটার বিষয়ে বাদী চরফ্যাসন থানায় অভিযোগ দিলে কাটা গাছগুলো আটকে রেখেছেন।