বাংলাদেশ

স্টিকার ব্যবসার আড়ালে লাখ টাকার চাঁদাবাজি: খিলক্ষেতের রাজপথে প্রশাসনের নীরব লুটপাট

এস.এম.নাহিদ:রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকায় চলছে রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় প্রকাশ্য চাঁদাবাজি।কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ৩০০ফিট হয়ে পূর্বাচলগামী প্রায় ১২০টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ওপর চলছে মাসিক স্টিকার চাঁদা নামক বৈধতা বিহীন একটি অবৈধ কর আদায়ের প্রথা।

চোখে ধোঁকা দেওয়ার জন্য প্রতি মাসেই পরিবর্তন হচ্ছে স্টিকারের ছবি।আগে ছিল ইলিশ মাছ, এখন ড্রাগন ফল। এসব স্টিকার লাগিয়ে গন্তব্যে চলতে পারাই যেন অনুমতির প্রতীক। তবে এই অনুমতি নিতে হচ্ছে মাসে ১৫০০/- টাকা করে, যার পুরোটাই যাচ্ছে স্থানীয় কিছু দালাল ও প্রশাসনের অদৃশ্য সিন্ডিকেটের পকেটে।সূত্রে জানা যায়, এই স্টিকার চাঁদা আদায়ের মূল কারিগর পাতিরা এলাকার অটোচালক শফিকুল এবং পূর্বাচল ভোলানের বাসিন্দা অটোচালক রাশেদুল। তারা প্রতি মাসে ১২০টি গাড়ি থেকে ১৫’শ টাকা হারে সর্বমোট ১৮০,০০০/-(একলক্ষ আশি হাজার) টাকা তুলে থাকেন। টাকা কোথায় যায়? অভিযোগ রয়েছে-ট্রাফিক পুলিশবক্স, থানা ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পকেটেই জমা পড়ে এই টাকাগুলো।অটোচালকদের চোখের সামনে এই লুটপাট চললেও তারা মুখ খুলতে সাহস পান না-ভয় পায় মামলা, গাড়ি জব্দ বা মারধরের।

সব কিছু দেখেও খিলক্ষেত থানা ও ট্রাফিক বিভাগ রয়েছে নীরব। এ নীরবতা আসলে কী প্রশাসনিক ব্যর্থতা, নাকি লুটপাটে অংশীদারিত্ব—এ প্রশ্ন এখন জনমনে।এই অবৈধ স্টিকার বাণিজ্য বন্ধে দ্রুত তদন্ত ও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হোক। প্রশাসন যদি নিরব থাকে, তবে ধরে নিতে হবে-খিলক্ষেতের রাস্তাগুলো এখন আর জনগণের নয়, বরং লুটেরা সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে।

Related Articles

Back to top button