স্পোর্টস ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপের শুরুর সঙ্গে শেষটা অন্তত মেলাতে চাইবে না আর্জেন্টিনা। কারণ বিষাদের শুরুর পর শেষটা যে কেবল রোমাঞ্চের। তবে ‘পচা শামুকে পা কাটার পর’ রোমাঞ্চের এ মঞ্চ প্রস্তুত করতে কম বেগ পেতে হয়নি মেসিদের। সৌদি আরবের কাছে হেরে শুরু করা এ টুর্নামেন্টে পরের প্রতিটি ম্যাচকেই ‘ফাইনাল’ হিসেবে নিয়েছিলেন স্ক্যালোনির শিষ্যরা। যার ‘ফল’ এখন ঘরে তুলেছেন তারা।বিশ্বকাপ মিশনে আর্জেন্টিনা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলে ২২ নভেম্বর, সৌদি আরবের বিপক্ষে। শুরুতে এগিয়ে গিয়ে পরে ২ গোল হজম করে ওই ম্যাচ ২-১ গোলে হারে মেসিরা। যা ছিল এবারের বিশ্বকাপের প্রথম অঘটন। তবে ওই ম্যাচের পর সৌদি আরবের কোচ হার্ভে রেনার্ড বলেছিলেন, এই আর্জেন্টিনাই বিশ্বকাপ জিতবে। তার কথাই যেন প্রায় একমাস পর সত্যি হলো।ঘুরে দাঁড়ানোর মূলমন্ত্রে ২৬ নভেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারায় সদ্য বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা। মূলত এই ম্যাচ দিয়েই জয়রথ শুরু হয় তাদের। যার সফল পরিসমাপ্তি হয় ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ান ফ্রান্সকে হারিয়ে।
গ্রুপ পর্বের নিজেদের শেষ ম্যাচে নভেম্বরের ৩০ তারিখ পোল্যান্ডকে একই ব্যবধানে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ ১৬-তে জায়গা করে নেই মেসিরা। যেখানে পরের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হয় অস্ট্রেলিয়া।৩ ডিসেম্বরের ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে স্থান করে নেয় আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় নেদারল্যান্ডসকে।
নকআউট পর্বের ৯ ডিসেম্বরের এই ম্যাচের খেলা অতিরিক্ত সময়সহ ২-২ গোলে সমতা থাকলে তা গড়ায় পোনাল্টিতে। আর তাতে ৪-৩ গোলে ‘টোটাল ফুটবলারদের’ হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে আসে আর্জেন্টিনা।
১৩ ডিসেম্বরে সেমিফাইনালে ২০১৮ বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়াকে পায় আর্জেন্টিনা। আগের ম্যাচে ব্রাজিলকে পরাজিত করে আত্মবিশ্বাসে তুঙ্গে থাকা ক্রোয়েটরা আর্জেন্টিনার কাছে কোনো পাত্তাই পায়নি। ওই ম্যাচে মেসিরা ৩-০ গোলে জয় দিয়ে হট ফেভারিট হয়ে ফাইনালে ওঠে। আর ১৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সকে পেনাল্টিতে ৪-২ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বার জয়ের স্বাদ পায় ৩৬ বছর ধরে বিশ্বকাপ শিরোপা খরায় থাকা মেসির আর্জেন্টিনা।