দেশ সমাজ পরিবেশ ভালো রাখার শর্তে

সৈয়দা রাশিদা বারী: দেশ সমাজ পরিবেশ ভালো রাখার শর্তে, মন্দ জিনিস বেশি আওরাতে, জনগণের মধ্যে উপস্থাপন বেশি করতে হয় না। এটা মহান আল্লাহ পাকও বলেছেন ‘তুমি অন্যের দোষ ঢাকো, আমি তোমার দোষ ঢাকবো, তোমার ইজ্জত সম্মান রক্ষা করবো’। দয়াময় সকল আধিপত্যের মালিক, কি সুন্দর মানুষ জাতির উদ্দেশ্যে বলেছেন!! আপনিও ভালো একটা পরামর্শ দিলেন অধিক গুণের অধিকারী ভাইয়া। ধন্যবাদ শুভানন্দন রইলো, মানুষের উদ্দেশ্যে ভালো পরামর্শ দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞ। সব মানুষেরই এইরকম হওয়া দরকার। তাহলে দেশ দশ সব মিলিয়ে পরিচ্ছন্ন ও ভালো থাকে। এই যে আলোচিত মহিলা, সে যা করেছে, তার ইজ্জত রক্ষার শর্তে, তার এটা করা উচিত হয়েছে। মহিলা এক নাম্বার প্রশংসনীয় কাজ করেছে। ধর্মের দিক থেকেও, আল্লাহর পাওয়ার কাজ করেছে। এর কোন বিচার অর্থাৎ মহিলার কোন সাজা দোয়ার দরকার নাই, আপনার এই কথাতে আমিও একমত। এ জন্য লোক সম্মুখেও আলোড়ন করার খুব একটা প্রয়োজন নেই। লোকটা পূর্বের স্বামী। তালাক হয়ে গেলে স্বামী-স্ত্রী একত্রিত হওয়া তো দূরে! সামনে যাওয়াই নিষেধ। আজকের আলোচিত বিষয়ে লোকটা তালাক দিয়ে আর একটা বিয়ে করে, পূর্বের তালাক দেওয়া স্ত্রীর কাছে, পুনরায় আবার এসেছে কেন? তাও রাতের আধারে গোপনে!! লুকিয়ে গোপনে ঘরে ঢুকে, খাটের নিচে আঁতাত আশ্রয় নিয়ে থেকে, ছেলেমেয়ে ঘুমিয়ে গেলে, লোকটা গভীর রাত্রি… সর্বনাশ!!! আমি এখন বলি ভাইরে এটা কোন নারী করলে কি হতো??!! তাকে তো ওখানেই মেরে ফেলতো ওই তালাকপ্রাপ্ত স্বামী পুরুষ!! বাঁচিয়ে রাখলেও, মনের মত ক্ষতি করে, বাড়তি বহু অপদস্ত হয়রানি করে, চুল কেটে গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে ঘুরাতো দশের মধ্যে, নৃশংস নির্মম অত্যাচারী পুরুষ সমাজ আনন্দ উপভোগ করে!!! নারীর কোন অন্যায় পেলে, পুরুষ সমাজ তাইতো করে। হ্যাঁ ভাই দেখলেন তো, কয়দিন আগেও একটা স্বাস্থ্যবতী নারীর,, চুরি করার দায়ে, কাপড় খুলে রাস্তার মধ্যে ন্যাংটা করে ছেড়ে দিয়েছে! ভাই নারীরূপ ধারী হে যদি হিজড়া হয় তবুও এটা করা উচিত নয়! এক নারীর অপমান অপদস্থ হয়রানি করা মানে সব নারীর অবজ্ঞা অপমান করা। যেখানে সংবিধানে স্পষ্ট করে লেখা আছে, খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা, একজন নাগরিকের ন্যায্য অধিকার। তাহলে বাঁচার স্বার্থে, খাওয়ার জন্য চুরি করাই তার কি অপরাধ? এর জন্য লেংটা করে দিলো পরনের কাপড় ছিড়ে খুলে নিয়ে, সেটা তো পুরুষ সমাজই!! এবার অন্য প্রসঙ্গে, এ পর্যন্ত অনেক পুরুষ মানুষ, দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে, দেশ পরিচালনা করেছেন। তার মধ্যে মাত্র দুইজন নারী রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছিলেন তাই না?। স্বাধীনতার 53 বছরে দুইজন নারী মোট কত বছর এদেশের নেতৃত্বে ছিলেন? দেশের সময়সীমা অস্তিত্বের নেতৃত্বের অর্ধেক সময় তো নারী পাবে, মানবিক মানসিক আইনত যদি ধরা হয় তাহলে পাবে। এক নারীতে বেশিদিন নিয়েছে এটা তার অন্যায় হয়েছে। কিন্তু এটা পুরুষের কিছু নয়, এটা বোঝাপড়া করবে নারী। এটা প্রাপ্তিটা কম হয়েছে জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। সে যাক দেশের প্রতি বিগত ওই পুরুষ নেতৃত্ব দেওয়া, রাষ্ট্রপ্রধান, তাদেরও বহুৎ অন্যায় ভুল কাজ করা নিশ্চিত হয়েছে! নতুবা মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কেন আন্দোলন করেছিলো এবং দুই একজন পুরুষ রাষ্ট্রপ্রধানের কেন মেরে ফেলেছিল? নারীদের উপরে পুরুষ কর্তৃক করা জঘন্য অন্যায়,,, সব সরকারের আমলেই হয়ে থাকে। এখন কথা হচ্ছে, কোন পুরুষ রাষ্ট্রপ্রধানকেই নারী সমাজ, অপমান অপদস্ত করার দায়ে, অশ্লীলভাবে ঝুলিয়ে জুতার বারি কিন্তু মারি নাই!!! রাগ করবেন না ভাই আমি উদাহরণ দিচ্ছি মাত্র। আমি কোন দলের টান টেনে বলছি না। কোন দলের ছোট করতে বা কোন পুরুষের, পুরুষ সমাজের, ছোট করতে, এটা বলছি না। বলছি মানুষের মানবিক অধিকারের প্রশ্নে। এখন কথা হলো সম্মানীয় ভাই, মানুষ কি শুধু পুরুষরাই, না নারীরাও মানুষ??? রাগ ক্ষোভ কি শুধু পুরুষদেরই হয়, নাকি নারীদেরও হয়??? নিশ্চয় আমি সত্যি কথা বললাম। কোন দল কোন রাজনীতির টানে এবং রাজনীতিকদের ছোট করার জন্য বললাম না। পুরুষ জাতিরও ছোট করতে চাই না। আমি নারী, সচেতন নারী, নিশ্চয়ই সচেতন নারীরা কোন মানুষের অর্থাৎ নারী ও পুরুষের অন্যায়ের পাত্তা দেয় না। অন্যায় কাজ সচেতন নারীরা পছন্দ করে না। এর জন্য কি, অন্যায়কে প্রতিশ্রুতি না দেওয়া সচেতন নারীকে, সুযোগ পেলে বা পারলে মেরে ফেলাবার, অপদস্ত হয়রানি করবার, ক্ষতি করে ভ্যানিশ করে দেবার জন্য উন্মুখ হতে হবে? পুরুষ সমাজ এ অন্যায় অধিকার রাখে এবং তাই করে?! দেখা তো যায়! কারণ পুরুষ সমাজ তো নারী সমাজকে শুধু সেবা দাসী বানিয়েই রাখার পক্ষে! চাই জড় পদার্থের মত ব্যবহার করতে। তার মানে বোকা নারী তাদের পছন্দ। নারীর বোধ শক্তি থাকুক, নারী বুঝুক এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলুক, মানুষের মত বাঁচুক, বাঁচতে চেষ্টা করুক, চাক পুরুষ সমাজ এটা একদম চায়না। কোন নারী সচেতন হলে, নারীর নারীত্ব পরিচয়ে মেধা জ্ঞান গুনে স্বয়ংসম্পন্ন হলে, তাকে পুরুষ খুব ডরাই! খুব ভয় পাই! তাই সচেতন নারীকে পুরুষ সমাজ পুরুষের শত্রু মনে করে! ঘরেও স্থান দেয় না বিধায়, মান-সম্মানের ভয়ে, জীবনের ভয়ে, নারীরা চুপ থাকে। নারী ঘরহারা সন্তানহারা হতে চায়না। এই জন্যও সব মেনে নিয়ে থাকে, খামখেয়ালী পুরুষ নামের স্বামীর সাথে বসবাস করে। পুরুষ সচেতন নারীকে সমাজে বা গৃহে ভয়ংকর ক্ষ্যাপা কুকুর বলে ধরে নেয়, এমনটাই লাগে! ক্ষ্যাপা কুকুরের কামড়ে মানুষও ক্ষেপে মরে যায়! ইত্যাদি! লোক সমাজের জন্য সত্যিই এটা মুশকিল ও সমস্যার!!! কিন্তু নারীকে এতটা ভয়ংকর ভাবা পুরুষ সমাজের এটা ভুল। কেননা নারী তো মমতাময়ী মায়ের জাতি। মাতৃত্ব টান নারীর মূল্যবান ভূষণ। পুরুষের জন্য নারী আশীর্বাদ, এইজন্য যে, ওই মূল্যবান ভূষণ, নারীকে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে যেতে বাধা দেয়! নারী বিনা অপরাধে দিক পাওয়া বা দোয়া শত কষ্টের পরেও, বঞ্চিত লাঞ্ছিত গঞ্চিত হওয়ার পরেও, পুরুষের পক্ষেই থাকে ! এ জন্যই কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী পুরুষ সমাজ, নারীকে মনের মতো ব্যবহার করতে ও পাকড়াও করতে পারছে!! নারী পুরুষের উপরে এমন করলে, পুরুষ তো একবেলা, একদিনও মানবে না! সইবে না! ধৈর্যের বাঁধ হারিয়ে ফেলবে! রক্তে রাঙিয়ে দেবে আওয়ামী লীগ বিএনপি বা রাজনীতির বেশভূষা মহড়া আদর্শের মতো। একটা জিনিস বিবেক এবং হৃদয় দিয়ে বোঝার বিষয়। পুরুষ সমাজের অন্যায় ধরিয়ে দিলে, নারী মানুষের অধিকারে বাঁচার পথ আওড়ালে, যত দোষ নন্দ ঘোষ। এই নারী হয়ে যায় পুরুষ সমাজের কাছে নন্দ ঘোষ!!! আর পুরুষ সমাজের সব অন্যায় মেনে নিয়ে, চোখ বন্ধ, মুখ বন্ধ, কান কালা ঠসা করে রাখলে, পুরুষ লাথি মারলেও, নারী ওই পা ধরে, পায়ে মাথা রেখে পড়ে থাকলে, পুরুষ সমাজের কাছে এই নারী হয় প্রকৃত নারী। আমি দেখেছি দুই একজন নারীকে স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করেছে! কিন্তু তবু মা-বাবা ভাই ওর মরে যাওয়া মেনে নিয়েছে! ওর জীবন নিয়ে ফিরে আসা চায়নি! দেখেন ভাই, বুঝে দেখেন, যে পুরুষের নিজেরই পরকাল নাই, আল্লাহ বিতাড়িত, জান্নাত পাবে না, বেহেস্ত নাই যার নামে বরাদ্দ, মানে অসৎ পুরুষের কথা বলছি। অসৎ ওই পুরুষ নামের স্বামীর আল্লাহ ভক্ত স্ত্রী, সতী সাবিত্রী স্ত্রী, আল্লাহ বিতাড়িত ওই স্বামীর পায়ের তলের বেহেস্ত নেবার লোভে, পাও ধরে পড়ে থাকলে, পুরুষ সমাজ এই গর্ধব বোকা নারী, তাকেই পছন্দ করে!! তার প্রতি গর্ব গৌরব প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়! যার নিজেরই আল্লাহর কাছে ভিসা নাই, সে তার স্ত্রীকে বেহেস্তে জান্নাতে নিয়ে যাবে, পুলসিরাত পার করে দেবে, কি করে বলুন?? পুরুষ সমাজ কেন সচেতন নারীকে দেখতেই পারে না! চোখের বালি মনে করে! পথের কাঁটা মনে করে! দমে দমে ওই সচেতন প্রকৃত জ্ঞানী নারীকে কেন্দ্র করে পড়ে,,, ফি নারে জাহান্নামা খালেদিনা, ফিহা,,,। ফিনারে জাহান্নাম, খালেদিন, ফিহা। এটাতো বদমাইশ স্বামীর নিজের প্রাপ্ততা। প্রকৃত অর্থে আল্লাহ ভক্ত স্ত্রীর জন্য নয়। হ্যাঁ ভাই বোকা নারীরাই নারীদের ধরে মারে। তাই বোকা নারীদের পুরুষরা ভালোবাসে। সচেতন নারী কখনো নারীদের আঘাত করে না। এইজন্য সচেতন নারীকে পুরুষ সমাজ খারাপ জানে। সমাজের অধিকাংশ নারী স্বামীকে ভালোবাসে। স্বামীর প্রশংসা করে। কিন্তু স্বামীর সৃষ্টিকারী, স্বামীর মাকে ধ্বংস করতে এক পায়ে খাড়া থাকে! এর অর্থ কি হতে পারে!? পুরুষ সমাজের কি সেই জ্ঞান বিদ্যা মাথায় আছে?? নারীকে দাবিয়ে রাখার বন্দোবস্ত না করে বরং আমি বলি কি ভাই, পুরুষ সমাজের জন্মদাত্রী মায়ের সমস্যা দূরীকরণের উপরেই গুরু দায়িত্ব রেখে কাজ করা উচিত। ভাবা উচিত। জোর জুলুম করে স্ত্রীকে বাধ্য করা, মাকে সেবা করার জন্য, এর আড়ালেও, ভাইরে আড়ালে তার সূর্য হাসে! এমন অকথ্য কিছু ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ, এক ড্রাম দুধ এক ফোটা চুনায় নষ্ট হওয়ার মত বিষয় কাজ করে! অর্থাৎ এর ফল ভালো হয় না এবং এটা কোন ভালো বিষয় নয়! এতটা বছর রাত দিন এর কারণ উদঘাটন বিশ্লেষণ, গবেষণা করে চুল পাকিয়ে ফেলেছি। আমি তো আর ফষ্টি নষ্টি, আনন্দ ফুর্তি বিনোদন করে সময় পার করি নাই?? আমার নারীর প্রতি দরদী মন, হৃদয়ানি সংশ্লিষ্টতা, এই চেতনাও আল্লাহর আশীর্বাদ, আল্লাহ প্রদত্ত। আল্লাহ জানেন। নারী জাতির প্রতি আমার দুর্বলতা ভালোবাসা টান স্বাভাবিক মৌলিক প্রক্রিয়া। সব নারীরই সেটা থাকা প্রযোজ্য, সমাজের জন্য মানুষের জন্য বাঞ্ছনীয়। কিন্তু পুরুষ সমাজের ষড়যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ পলিটিক্সের জন্য নারীই নারীদের শত্রু, এটা হয়ে আছে! এটা নিয়েও পুরুষ নারীকে তাচ্ছিল্য ক্রিটিসাইজ করে আরো সুযোগ নেই। আল্লাহও সেটা জানেন। এই জন্য বেহেস্তের থেকে দোযখ বেশি। শিশুকালে ধারাপাত পড়ার সময় মুখস্ত করেছি, ৭ বেহেশ্ত, ৮ দোজখ! বড়কালে এখন চিন্তা করি, বেহেশতের থেকে দোযখ বেশি কেন? এই জন্য আল্লাহর লাইনের গবেট মূর্খ মানুষের থেকে, আল্লাহর লাইনের, শিক্ষিত, আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকা, জ্ঞানী মানুষই বেশি দোযখ বাসি, জাহান্নামবাসী হবে। নাউজুবিল্লাহ আমি একদম ওটা চাইনা। আমি পুরুষের শত্রু নয়! আমার প্রিয় দাদা, প্রিয় চাচাগুলো, প্রিয় বাবা, আমার জান! আমার ভাইরা আমার প্রাণ! আমার পুত্রদয় আমার হৃদয় হৃদপিণ্ড নিঃসন্দেহে জীবন! কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার যে, আমি আমার জীবনে এই পর্যন্ত যতগুলো সরকার পেলাম, রাষ্ট্র প্রধান পেলাম, পুরুষ এবং নারী, সবার একই রকম নীতি-আদর্শ দেখলাম! কারোরই ভালো দেখলাম না! কেউ সাধারণ মানুষের কিংবা লেখকের মন মানসিকতার বাক স্বাধীনতা দেয় নাই! নিজের দলের প্রতি আটকে ধরে রেখেছে, প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ও মনের বিপক্ষে। জোর জুলুম নির্যাতন করে। এই কারণে সাধারণ কাম করে খেটে খাওয়া, মানুষেরও তো রাষ্ট্রপ্রধানের আন্ডারে থেকে কাজ উদ্ধার করতে হয়। রাষ্ট্র প্রধানের বিপক্ষে যাওয়া মানে রাষ্ট্রদ্রোহী! এটা সাধারণ মানুষ এবং কবি সাহিত্যিক কেন করবে? কেন তারা রাষ্ট্রদ্রোহী হবে? এই দুইদিন কার দুনিয়ায়, দুই দিনের জন্য ক্ষমতায় এসে, রাষ্ট্রপ্রধান তারা তাদের দল তাদের পক্ষে না হলে, কাজ করে কেন দেয় না?? আমারও মাথায় এটা খেলে না!!! এটাই তো বৈষম্য এবং এটাই কোটা! কোটার বিপক্ষে আন্দোলন হয়েছিল এবং এখনো কি মানুষ সরকারি খাতে আদৌ বৈষম্য মুক্ত?? কোটামুক্ত?? সাহিত্য সংস্কৃতি দেশের মৌলিক সম্পত্তি। লেখক কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক সম্পাদককে উপযুক্ত সম্মান এ পর্যন্ত কোন রাষ্ট্রপ্রধান করেন নাই! তত্ত্ববোধক সরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, কোন সরকারের মধ্যে এটা দেখছি না। অন্যায় কাজ সব সরকারের আমলেই, অন্যায়কারী কর্তৃক কমবেশি করা যায়, এটা ঠিক আছে। অন্যায়কারীদের উপরে কোন বৈষম্য নাই কিন্তু ভালো মানুষের, ভালো কাজের সম্মান পেতে হলে, যে কোন দলের চামচা দালাল হতে হয়!! এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার! এসব বলার উপায়ও নাই। সত্যি বললেও মানুষ যে কোনো দলের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে! ধাক্কা মেরে ফেলে ইন্ডিকেট করে উদ্ভট সমালোচনায় মত্ত হয় অর্থাৎ শত্রুতা করে!! শত্রুতা ঠেকাতেই সত্যি কথা বলা যায় না!! যার জন্য মনে হয় যে, প্রত্যেক যুগ মিথ্যের উপরে ভাসছে! আমার জীবনটা কেটেই গেলো ভাইরে! তবু প্রকৃত সত্যি অর্থে হৃদয়বান দরদী দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রপ্রধান পেলাম না! যে আর কি দলের দিকে না তাকিয়ে, দেশের জন্য, দশের জন্য, প্রকৃত অর্থে সবার জন্য, একজন একনিষ্ঠ মানবতা শীল মানব দরদী ভালো অভিভাবক। বৈষম্যমুক্ত অভিভাবক। মানুষ আশা করছে নিশ্চয়ই একদিন এমন অভিভাবক এদেশে মিলবে, যিনি দেশবাসীকে ধন্য করবে বলে, এই অমূল্য প্রত্যাশায় প্রত্যাশিত জনগণ অর্থাৎ সকল পর্যায়ের মানুষ।
২৮. ৮. ২০২৫ ইং, দুপুর পনে ২টা, বৃহস্পতিবার।