
টাইমস ২৪ ডটনেট :ময়মনসিংহের পাগলা থানার সাধুয়া গ্রামের মুহিবুল্লাহ খান, নিজেকে তিনি খুবই অসহায় দাবি করে বলেন, আমার বাড়ি ঘর নেই আমার স্ত্রী তার পিত্রালয়ে থাকে। আমার জমিজমার রেকর্ড সাবকাওলা দলিল, খারিজ সব আছে। কিন্তু আমার কোনো জমি নেই বাড়ি নেই আমি ভূমিহীন। আওয়ামীসন্ত্রাসীদের তান্ডবে ১৬ বছর বাড়ি ভীটা ছাড়া কখনও ভাড়া বাড়িতে কখনো শশুর বাড়িতে স্ত্রী কন্যা নিয়ে নির্বাসিত জীবনযাপন করছে মহিবুল্লাহ। বাড়িঘর জমিজমা সব দখল করে নিয়েছে আওয়ামীমনা প্রতিবেশিরা। যার নেতৃত্বে ছিল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। প্রতিবেশি জাকারিয়া গং বাড়ি সংলগ্ন গাছপালা কেটে বিক্রয় করে সেই টাকা মোয়াজ্জেমকে দিতো। সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সাংবাদিক মোঃ মুহিবুল্লাহ খান।
সোমবার ১১ আগস্ট, ঢাকার ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন হলে সাংবাদিকদের সামনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ৩০/০৩ ২০১৩ ইং তারিখ রাত ৮ টায় জাকারিয়া গং আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমার স্ত্রীকে মারধর করে আমার ঘরের মালামাল ও টাকা পয়সা সব লুট করে নিয়ে যায়।
আমি মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে ভাড়াকরা মোটরসাইকেল করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। বাড়ির কাছাকাছি আসলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা জাকারিয়া গং আমার উপর হামলা করে। তারা আমার মাথায় দা দিয়ে কূপ দেয় এবং লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহতে করে এসময় সাথে থাকা ৩৫০০০/- হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আমাকে প্রায় মেরেই ফেলছিল, আমি প্রাণ বাঁচাতে কাছেই এক বাড়িতে আশ্রয় নিই।
এ ব্যাপারে আদালতে একটি মামলা করলে যার নম্বর ৪০৯/২৪ বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই ময়মনসিংহকে দায়িত্ব দেয়। পিবিআই তদন্তকারী দল দীর্ঘ সাত মাস সময় নিয়ে অবশেষে মামলাটি মিথ্যা রিপোর্ট দেয়। মামলাটি সত্যতার পক্ষে ময়মনসিংহ চরপাড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল সনদও তদন্ত কর্মকর্তার কাছে আছে। তার পরও আসামীদের পক্ষপাতিত্বে মামলাটি ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। আমি এ ব্যাপারে আদালতে না রাজি মামলা করেছি।
উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আমার আকুল আবেদন, আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে পাগলা থানায় মামলা গ্রহন করে আসামীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করছি।