প্রবাসবাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও লাওসের কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা

টাইমস ২৪ ডটনেট :দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এবং লাওস “ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি)” বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ লুৎফর রহমান এবং লাওস সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভিয়েতনামে লাওসের রাষ্ট্রদূত খামফাও এনথাভান। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি ভিয়েতনামে বাংলাদেশের দূতাবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

সমঝোতা স্মারকটিকে একটি কূটনৈতিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান বলেন, এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত কূটনৈতিক সভা ও আলোচনার পথ সুগম করবে । দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সংস্কৃতিক, বিনিয়োগসহ সকল ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গভীর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে । এটি দুই দেশের মধ্যে একটি টেকসই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেও জানান রাষ্ট্রদূত ।

“বাংলাদেশ আসিয়ান এর সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার হতে চায় “ এই অভিপ্রায় পুনঃব‍্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই সমঝোতা স্মারকটি শুধু দ্বিপাক্ষিক বন্ধন জোরদারই করবে না বরং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করবে ।

বাংলাদেশ লাওসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে লাওসের রাষ্ট্রদূত খামফাও এনথাভান এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন । দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত এনথাভান বলেন, আজকের এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠানের একটি স্থায়ী ফোরাম প্রতিষ্ঠিত হলো যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়সহ নানা ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরোও সুদৃঢ় করেব বলে আশা করা যায় ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও লাওস ১৯৮৮ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে । এই সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশের গঠনমূলক কূটনৈতিক সভা ও সংলাপ সংক্রান্ত প্রথম চুক্তি ।

Related Articles

Back to top button