বাংলাদেশ

ভারতের ইছামতী নদীর উজানের পানিতে ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিল,৫০০ একর জমি পানির নিচে

মসিয়ার রহমান কাজল,বেনাপোল:টানা বর্ষনে আর ভারতের ইছামতী নদীর উজানের পানিতে এবছরও প্লাবিত হয়েছে শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ঠেঙামারী ও আওয়লী বিল।এতে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে ৫০০ একর ফসলি জমি।
একটি সুত্র জানিয়েছেন ইরি বোরো চাষের সময় চাষিদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে খালমুখের বাঁধ কেটে দেয়া হয়েছিলো। যা পরবর্তীতে আর বেঁধে দেয়া হয়নি।যার ফলে এখন চাষীদের বিপদের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার গোগা, গোগা শান্তিপুর, বাইকোলা, গাজীর কায়বা, পাঁড়ের কায়বা, পাঁচকায়বা, ভবানীপুর ও রুদ্রপুর সহ ৮ গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে এবছর ভারতীয় উজানের পানি ঢোকার কারনে আউশ ধান, পাট ও আমন বীজ তলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় চাষীরা জানিয়েছেন, ভারতীয় ইছামতি সংলগ্ন খালমুখের বাঁধ কেটে রাখার কারনে বৃষ্টির পানির সাথে সাথে ইছামতী নদীর উজানের পানি প্রবেশ করে ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিলের ডাঙ্গার পাট ও আউশ ধান তলিয়ে গেছে। এবং বিলে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। তারা আরও জানান,ভারতীয় ইছামতির উজানের পানি বিলে প্রবেশ না করলেএসব ফসলের ক্ষতি হতো ন।
জাকির হোসেন বলেন,তারএকবিঘা জমির পাট পানিতে নষ্ট হয়েছে।এতে ৩০ হাজার টাকার পাট ক্ষতি হয়েছে। এরকম অনেক চাষি আছেন, যাদের পাটের জমিতে এখন ৫ থেকে ৬ ফুট পানি জমে আছে।
কায়বা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা আল – আমিন জানিয়েছেন,এবছর আগাম বর্ষনের কারনে আমন ধানের ক্ষতি হয়নি। তবে ৫ হেক্টরের মত আমনের বীজ তলানষ্ট হয়েছে।এছাড়াও ৩৫ হেক্টরের মত আউশ ধান ও ২০ হেক্টরের মত পাট ফসলের ক্ষতি হয়েছে।তিনি আরও জানান,আমনফসলের ক্ষতি না হলেও বিলে জলাবদ্ধতা তৈরী হওয়ার কারনে ঠেঙামারী বিলে ৫০০ একরের মত জমিতে আমন চাষ না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Related Articles

Back to top button