বাংলাদেশ

মাদকনির্ভরশীল চিকিৎসায় কাউন্সেলিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম

টাইমস ২৪ ডটনেট : মাদকনির্ভরশীল চিকিৎসায় কাউন্সেলিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন অটিজম ও নিউরোডেভোলপমেন্টাল প্রতিবন্ধিকতা বিষয়ক জাতীয় একাডেমির কাউন্সেলিং মনোবিজ্ঞানী ডা: মোঃ সেলিম চৌধুরী। সোমবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১ টায় রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসারত ক্লায়েন্টের অভিভাবকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক পারিবারিক সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, কাউন্সেলিং হচ্ছে ‘কথার মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান(টকিং থেরাপি)’। যার মাধ্যমে সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তি একটি নিরাপদ এবং গোপনীয় পরিবেশে, একজন বা একাধিক ব্যক্তি তার সমস্যার কথা কাউন্সেলরের কাছে বলে এবং আলোচনার মাধ্যমে নিজেই তার সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা অর্জন করে এটাই হচ্ছে কাউন্সেলিং। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে বোঝার সুযোগ পায় এবং সেটাই তাদের নিজের জীবনের পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে। মাদকনির্ভরশীলদের চিকিৎসা গ্রহণে সিদ্ধান্ত নিতে ও মানসিক সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য ধারাবাহিক কাউন্সেলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সভায় এবারের বিষয়বস্তু ছিলো, ‘মাদকনির্ভরশীল চিকিৎসায় কাউন্সেলিং এর গুরুত্ব। মাদকদ্রব্যের আগ্রাসন যেন ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলেছে পুরো যুব সমাজকে। হতাশা, অস্থিরতা, কষ্ট, ঘৃণা, ক্ষোভ সবকিছু হতে মুক্তির একমাত্র উপায় হিসাবে মাদকগ্রহণকে বেছে নেয়। ব্যক্তির মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ধারাবাহিক কাউন্সেলিং প্রয়োজন এবং এই কাউন্সেলিং শুধুমাত্র মাদকাসক্তির চিকিৎসাকালীন সময়ের জন্য পরবর্তীকালেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রয়োজন হতে পারে।

আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে চিকিৎসারত ক্লায়েন্টকে আত্মবিশ্বাসী, আত্মনির্ভরশীল, আত্মনিয়ন্ত্রিত করে তোলে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে ও সমস্যার সাথে যথোপযুক্ত খাপ খাইয়ে কার্যকরভাবে জীবনযাপন করতে সক্ষম করে তোলো।

Related Articles

Back to top button