
টাইমস ২৪ ডটনেট : আহলে বাইতের রাসুল (সাঃ) স্মরণে শোহদায়ে কারবালা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত হযরত শাহ আলী বোগদাদী (রঃ) এর মাজার প্রাঙ্গণে বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট’র বাইত উল আসফিয়া মাইজভাণ্ডারী খানকাহ শরিফ’র ব্যবস্থাপনায় শোহদায়ে কারবালা মাহফিল-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) পূর্বাচল রাজস্ব সার্কেল মো. তাছবীর হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলার সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারজানুর রহমান।
“মাহফিলে শাহাদাতে কারবালার আধ্যাত্মিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক শিক্ষা” বিষয়ের উপর আলোচনা করেন ঢাকার শান্তিপুর জামে মসজিদের খতিব শায়খ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী। এছাড়াও বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সাম্য-ন্যায়বিচার ও দয়াগুণ প্রতিষ্ঠায় শাহাদাতে কারবালার গুরুত্ব- বিষয়ের উপর আলোচনা করেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী গোমদন্দী দরবার শরিফের মাওলানা সৈয়দ আহমদুল হক।
“শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট এর কর্মকাণ্ড ও গাউছিয়া হক মঞ্জিল” প্রসঙ্গে আলোচনা করেন চট্টগ্রামের মাদ্রাসা এ গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারীর প্রভাষক মাওলানা মুজিবুল হক।
মিলাদ মাহফিলে বক্তারা বলেন, বর্তমানে পৃথিবীতে আমরা বিভক্ত, পারস্পরিক হানাহানি দ্বন্দ্ব সংঘাত হিংসা-বিদ্বেষ বিদ্রপতায় অতিষ্ঠ। পৃথিবীকে আমরাই করেছি কলঙ্কিত। এই ধরনের নানামুখী নেতিবাচক আচরণ থেকে মানব সমাজকে মুক্ত রাখার অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীর মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আহব্বান হচ্ছে মাইজভাণ্ডারীয়া ত্বরিকা। বিশ্বজঅলী শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর নামে প্রতিষ্ঠিত ত্বরিকা-ই মাইজভাণ্ডারীয়া’র আদর্শবাহী প্রতিষ্ঠান- শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনকল্যাণমুলুক কাজ করার জন্য নিবেদিত একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও মানবতাবাদী ধর্মীয় সংগঠন। এ লক্ষ্যে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিকে স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন সেবামুলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজের অসহায় মানুষের মাঝে সিএনজি, অটো রিকশা, ভ্যান গাড়ী, কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করা, দুস্থ মানুষের মধ্যে চিকিৎসা সেবা, মহামারীতে খতিগ্রন্থ দরিদ্র মানুষকে আর্থিক সহায়তা, বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় আর্থিক অনুদান প্রদান, শীতবস্ত্র বিতরণ, দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সেলাই প্রশিক্ষণসহ নানা রকম কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
মাহফিলে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আশেকানে মোস্তফা (সঃ), আশেকানে আউলিয়াগণ ও ঢাকার সাংগঠনিক সমন্বয়কারী ও আশে পাশের জেলা সমূহের মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।