
টাইমস ২৪ ডটনেট: দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ এবং এশিয়ার প্রভাবশালী আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সদস্যরাষ্ট্র থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সংঘাতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে চীন এবং বর্তমানে আসিয়ানের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকা মালয়েশিয়া।দুই প্রতিবেশীকে সংঘাত পরিহার করে কূটনৈতিক পদ্ধতিতে নিজেদের সমস্যাগুলো সমাধান করতে আহ্বানও জানিয়েছে চীন-মালয়েশিয়া।
বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকু বলেন, “থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘাত উসকে ওঠায় চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা প্রত্যাশা করছি যে উভয়পক্ষই সংলাপ ও আলোচনার ভিত্তিতে নিজেদের পারস্পরিক সমস্যাগুলো সমাধান করবে। এক্ষেত্রে তারা যদি চায়, তাহলে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীন গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে।”
আর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং আসিয়ান জোটের বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার ইব্রাহিম আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, দুই সদস্যরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে আসিয়ান।
“আমি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আজ সকালে বার্তা পাঠিয়েছি। আমি বলেছি যে আজই আমি তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই।”“আমরা অন্তত আশা করতে পারি যে তারা সংঘাত থেকে সরে আসবে এবং আলোচনায় প্রবেশের চেষ্টা করবে।”
উল্লেখ্য, এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল বা পান্না ত্রিভুজ নামের একটি এলাকা নিয়ে বেশ কয়েক দশক ধরে দ্বন্দ্ব চলছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও লাওসের সীমানা মিলিত হয়েছে পান্না ত্রিভুজে। প্রাচীন মন্দির ও ধর্মীয় স্থাপনাসমৃদ্ধ পান্না ত্রিভুজকে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া উভয়েই নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে।
কয়েক দশক ধরে সীমান্ত সংঘাতের পর ১৫ বছর আগে যুদ্ধবিরতিতে গিয়েছিল দুই দেশ। কিন্তু গত মে মাসে কম্বোডিয়ার এক সেনা থাই সীমান্তের কাছে নিহত হওয়ার পর ফের উসকে ওঠে উত্তেজনা।
গতকাল বুধবার কম্বোডিয়া সীমান্তের কাছে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে এক থাই সেনা গুরুতর আহত হন। তারপর আজ বৃহস্পতিবার সকালে কম্বোডিয়ার দুই সেনা স্থাপনায় বিমান অভিযান চালায় থাইল্যান্ড।
সেই হামলার জবাবে কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী থাই প্রদেশ বান নাম ইয়েনে রকেট হামলা চালায়কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন।
সূত্র : আলজাজিরা।