
টাইমস ২৪ ডটনেট: ইয়ুন সুক ইয়োলের বিরুদ্ধে নতুন করে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের অন্য নাগরিকদের অধিকার খর্ব করা, সরকারি নথি-রেকর্ড মুছে ফেলার নির্দেশ ও গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে বাধা দেয়া।কারাগারে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োলের বিরুদ্ধে শনিবার দেশটির আদালতে নতুন করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। দেশটির প্রসিকিউটর অফিস থেকে এ বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, ইয়ুন সুক ইয়োলের বিরুদ্ধে নতুন করে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের অন্য নাগরিকদের অধিকার খর্ব করা, সরকারি নথি-রেকর্ড মুছে ফেলার নির্দেশ ও গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে বাধা দেয়া। খবর রয়টার্স।
বর্তমানে ইয়ুন সুক ইয়োলের বিরুদ্ধে গত ডিসেম্বরে তিনি প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্শাল ল জারির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে দেশটির বিশেষ প্রসিকিউটর দল।
ইয়ুন সুক ইয়োল এরই মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিচারাধীন রয়েছেন। এ অভিযোগের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটির বিশেষ প্রসিকিউটর দলকে গত জুনে তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ তদন্ত চালু থাকা অবস্থায়ই তার বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠন করল বিশেষ প্রসিকিউটর দল।
অভিসংশিত হয়ে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া ইয়ুন সুক ইয়োল তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দেশটির আদালতে গঠন করা নতুন অভিযোগগুলো সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হলে তার আইনজীবীদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ইয়ুন সুক ইয়োল গত মাসের শুরু থেকেই সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রয়েছেন। গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেয়।