topসারাদেশ

পর থমথমে পরিস্থিতি গোপালগঞ্জ, সময় বাড়লো কার্ফিউয়ের

টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ঘিরে গত বুধবার হামলার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় যারা অংশগ্রহণ করেছে; তারা বেশির ভাগই গ্রাম থেকে এসেছিলো। ছোট ছোট দলে তাঁরা অবস্থান নিয়েছিলেন বিভিন্ন অলিগলিতে। এসময় হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। দিনভর দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর গত বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কারফিউ চলে। এর মধ্যে জারি করা কার্ফিউয়ের সময় বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কার্ফিউ জারি করা হয়েছে। তুমুল সংঘর্ষ, বিশেষ অভিযান ও আটকের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষের মধ্যে। এরই মধ্যে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ দফায় দফায় হামলা-সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জানা গেছে, গত বুধবার বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ জেলা শহরের পৌর উন্মুক্ত মঞ্চে এনসিপির পথসভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকেই পথসভার মঞ্চ তৈরি ও সামনে চেয়ার গোছানোর কাজ শুরু হয়। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে চালু হয় মাইক। এনসিপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মাঝেমধ্যে মাইকে কথা বলছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টায় পুলিশের গাড়িতে আগুন ও বেলা সাড়ে ১১টায় ইউএনওর গাড়িতে হামলার খবর আসে। তবে তখনো পৌর উন্মুক্ত মঞ্চের পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। পুলিশ ও ইউএনওর গাড়িতে হামলার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সভাস্থলে আসা নিয়ে কিছুটা শঙ্কা দেখা দেয়। এরই মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় নেতারা ঘোষণা দেন, কেন্দ্রীয় নেতারা পথেই আছেন; পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। তাঁরা বিভিন্ন স্লোগানও দিতে থাকেন মঞ্চের মাইক থেকে। বেলা ১টা ১২ মিনিটের দিকে একপশলা বৃষ্টি হয়। তখন সভামঞ্চ ছেড়ে পাশে অবস্থান নেন নেতা-কর্মীরা। সভামঞ্চ ও সামনের চেয়ার মিলিয়ে তখন ৭০-৮০ জন লোক ছিলেন। এ ছাড়া সেখানে ছিলেন পুলিশ সদস্য ও বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা। বৃষ্টি কিছুটা কমার পর বেলা ১টা ২৫ মিনিটের দিকে এনসিপির নেতা-কর্মীরা আবার মঞ্চে ওঠেন। এদিকে ১টা ৩৪ মিনিটে গোপালগঞ্জ মহিলা কলেজের সামনের সেতু পার হয়ে ৫০-৬০ জনের একটি দল বাঁশ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সেখানে আসে। তারা সভামঞ্চের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় এনসিপির নেতা-কর্মীরা পাশের কোর্ট চত্বরে গিয়ে আশ্রয় নেন। তখন পুলিশ সুপার আরও সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ ও এনসিপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়ায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ১০ মিনিটের মধ্যে এনসিপির নেতা-কর্মীরা সভাস্থলে এসে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এ সময় আশপাশের জেলখানা মোড়, চৌরঙ্গী, বিসিক ব্রিজ ও বিভিন্ন অলিগলিতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিক্ষিপ্তভাবে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ২টা ৪ মিনিটে সভামঞ্চে উপস্থিত হন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। ২টা ৪০ মিনিটে পথসভা শেষ হয়। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সবার শেষে বক্তব্য দেন। তাঁর বক্তব্য শেষে নেতা-কর্মীরা গাড়িতে উঠছিলেন। তখন গোপালগঞ্জ লেকপাড়ের লঞ্চঘাট ব্রিজ, মহিলা কলেজ ব্রিজ, কাঁচাবাজার ব্রিজ ও বিসিক ব্রিজ পার হয়ে হামলাকারীরা সভাস্থলের দিকে আসতে শুরু করে। এ সময় তাদের ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে ও লাঠি উঁচিয়ে সবাইকে সরে যেতে বলে। তবে হামলাকারীরা পিছু না হটে আরও সামনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। এরই মধ্যে পুলিশ এনসিপির নেতাদের গাড়িবহর নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাঁদের গাড়িবহরের সামনে-পেছনে অন্তত ১৫টি পুলিশের গাড়ি ছিল। সামনের কয়েকটি গাড়ি একটু এগোতেই বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। তখন পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এরই মধ্যে পুলিশ গাড়িবহর ঘুরিয়ে এনসিপি নেতাদের নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দিকে নিয়ে যায়। পরে ওই কার্যালয়ে আশ্রয় নেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, গত বুধবার সকালে পুলিশের গাড়িতে হামলা ছিল বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আগে থেকেই এনসিপি নেতা-কর্মীদের আটকে রাখা ও মারধরের পরিকল্পনা ছিল। সেভাবে গ্রাম থেকে প্রচুর মানুষ এসেছিল। তারা ছোট ছোট ভাগে শহরের অলিগলিতে ছিল। আর আধা ঘণ্টা সময় গেলে হয়তো কোনোভাবেই এনসিপির নেতা-কর্মীদের অক্ষত রাখা সম্ভব হতো না। হামলাকারীদের মূল প্ল্যান ছিল তাদের (এনসিপি) সমাবেশ করতে না দেওয়া। কিন্তু পরে বহু মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তখন হামলা ও মারধর করার লক্ষ্য হয়ে যায়। যেভাবে শুরু হয়েছিল, তাতে তারা যে অক্ষত গোপালগঞ্জ থেকে বের হতে পেরেছে, এটা বড় ব্যাপার। পুলিশকেও চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীও যুক্ত হয়। সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলের উত্তর দিক দিয়ে, অর্থাৎ বিসিক মোড় থেকে হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়। তখন তাঁরা ইটপাটকেল ও হামলার মুখে পড়েন। সড়ক পরিষ্কার করে তাঁরা গাড়িবহরকে শহর থেকে বের করে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও লোক জড়ো হয় আশপাশের অলিগলিতে। সেখান থেকে চলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। থেমে থেমে কয়েক দফায় এ সংঘর্ষ হয় বুধবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। এর মধ্যেই বিকেল ৫টা ৫ মিনিটের দিকে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহর ঘোনাপাড়া হয়ে মোল্লারহাট ব্রিজ পার করে দেন। পরে ওই গাড়িবহর খুলনায় পৌঁছায়।
এদিকে সংঘর্ষ ও সহিংসতার পর গোপালগঞ্জ জেলায় জারি করা কার্ফিউয়ের সময় বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কার্ফিউ জারি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এ আদেশ দেন। তবে শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কার্ফিউ শিথিল থাকবে। এর আগে গত বুধবার রাত ৮টা থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ শুরু হয়। চলে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
অপরদিকে পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় উচ্ছৃঙ্খল জনতা নিহত ৪ জনের মরদেহ পোস্ট মর্টেম করতে না দিয়ে জেলা হাসপাতাল থেকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত যৌথবাহিনী ও পুলিশ নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। গোপালগঞ্জ জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে এক হাজার ৫০৭ জন পুলিশ সদস্যসহ সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন কারফিউ জারি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে।
সূত্র জানায়, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গত বুধবারের পদযাত্রা বা সমাবেশটি ছিল পূর্ব ঘোষিত। এর আগে তারা উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৩০ জেলায় তাদের ‘জুলাই পদযাত্রা’ শেষ করেছে। গত বুধবার এনসিপির নেতারা গোপালগঞ্জে যাবেন, সমাবেশ করবেন, সব কিছুই আগে থেকে নির্ধারিত ছিল। কিন্তু গত মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এ সমাবেশকে ঘিরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের সংঘর্ষের ঘটনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই দায়ী করেছেন পর্যবেক্ষকরা।
এদিন পুলিশ ছাড়াও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন সতর্ক। তারপরও গত বুধবার সকাল থেকে জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ-নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্যরা এনসিপিকে ঠেকাতে পথে পথে ব্যারিকেড দেয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়া এলাকায় পুলিশের গাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের কংশুর এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। সমাবেশ শেষ করে গোপালগঞ্জ থেকে বেরিয়ে মাদারীপুরে যাওয়ার পথে এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী অভিযোগ করে বলেছেন, পুলিশের তরফ থেকে তাদের সহায়তা করা হয়নি এবং হামলার সময়ও তারা নিষ্ক্রিয় ছিল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা। এ দায় সরকার ও প্রশাসনকে নিতে হবে। গোপালগঞ্জ ও বাংলাদেশের সব অঞ্চলের প্রতি এনসিপির সমান কমিটমেন্ট রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে গোপালগঞ্জবাসীর জীবন বিপন্ন করে তুলেছে, মুক্তিযুদ্ধকে কলুষিত করেছে এবং সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধের জন্য যাইনি, আমাদের পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিই ছিল। কিন্তু মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগ সবসময় দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। ৫ আগস্টের ঘটনার পরেও আওয়ামী লীগকে ‘রিফাইন্ড’ করার উদ্যোগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আর রাজনৈতিক দল নয়, এটা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। তিনি আরও বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার আইনি প্রক্রিয়ায় দাবি করলেও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের লোকজনের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, গোপালগঞ্জে তাদের শান্তিপূর্ণ পথসভায় যোগ দিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের পথে আটকে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও তারা সভা সফলভাবে শেষ করেন। কিন্তু ফেরার পথে সশস্ত্র আক্রমণের শিকার হন।
পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বলেছেন, ধৈর্য ধরে তারা (পুলিশ) গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছেন। লিথ্যাল (প্রাণঘাতী অস্ত্র) কোনও কিছু ব্যবহার না করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু সময় লেগেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গোপালগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল, কিন্তু এত পরিমাণ যে হবে, সে তথ্য ছিল না। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লেজুঁড়ভিত্তিক মিডিয়াগুলির একেক রকম তথ্য নিয়েও বিভ্রান্তিতে পড়েছেন পাঠকরা। তবে যেটাই হোক প্রশাসনিক ব্যর্থতা কোনোভাবেই এড়ানোর সুযোগ নেই বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেছেন, সরকার ও এনসিপির যৌথ পরিকল্পনায় এই গোপলগঞ্জ সফর হয়েছে কি না? এর পিছনে তিনি যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন, ৫ আগষ্টের পর সেখানে সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলা, বিএনপি নেতাকে হত্যা, পুলিশের থানা ঘেরাও, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের মত ঘটনা ঘটেছে যা থেকে বোঝা যায়, আসলে সরকারের অলমোস্ট কোন নিয়ন্ত্রণ নেই ওই জেলার ওপর। এরপরও কেন যেতে দেওয়া হলো এনসিপিকে? সরকার এই পরিস্থিতিতে চাইলেই এনসিপিকে গোপালগঞ্জ সফরে যেতে বারণ করতে পারতো। আওয়ামী লীগ এরকম একটা প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা এসে সঙ্গবদ্ধভাবে এই কাজ করবে। এটা একদিন দু’দিনের প্রস্তুতি না এটা দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি এবং এই তথ্য পাওয়া গোয়েন্দা সংস্থার জন্য কোন ব্যাপারই ছিল না।

Related Articles

Back to top button