মতামত

বেটার বউ মানে কি?

সৈয়দা রাশিদা বারী:পুত্রবধূই বেটার বউ। বেটার বউ মানে কি ??? বেটার বউ মানে, তার অর্থাৎ বেটার বউয়ের স্বামীর, বেটার বউ মনে করে বেটার বউয়ের স্বামীর জিনিস, জিনিস মানে, স্বামীর সব কিছু, দেহ মন ধন দৌলত অর্থ করি টাকা পয়সা যাবতীয় সবকিছু। বেটার বউয়ের কাছে, স্বামীর জিনিস‌ কোটি কোটি লক্ষ লক্ষ গুণ বেশি টাকা ও অন্যান্য ধ্বংস হয়ে যাক। পিছন ‌দরজা দিয়ে লুটপাট হয়ে চলে যাক। ময়লার ঝুড়িতে ডাস্টবিনে ফেলে দিক। কোন কিছুতে কোন সমস্যা নাই! সমস্যা বেটার বউয়ের একটা। কি সেটা??? জেনে রাখুন ভালো করে সবাই জেনে রাখুন। বেটার বউয়ের সমস্যা, ডাহা বিপদ সংকেত, একটা টাকা শাশুড়ি কিংবা শ্বশুরের পিছনে গেলে বা দিলে। সেই একটা টাকার সমস্যা! পাষাণ জগদ্দল পাথর বিশ্ব সমান ভারী!! সে মানে বেটার বউ, এটাকেভাবে অপচয় এবং এই অপচয়টা সইতে পারে না প্রিয় পুত্রের স্ত্রী, মানে ছেলে বেটার বউ। মানুষ যে বলে সে ধনী। তার পুত্র ব্যারিস্টার ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার মন্ত্রী মিনিস্টার, শিল্পপতি ইত্যাদি! মানুষ কেন যে বুঝতে পারে না। আজকাল বা বর্তমানে, পুত্রের হলে মায়ের হয় না, পুত্রবধূর হয়। তবে মায়ের হলে, পুত্র মায়ের জিনিস স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে পারে। এখানে কোন বাধা থাকে না। মায়ের মৃত্যুর পরেও পাই। মা বেঁচে থাকতেও নেয়। কিন্তু পুত্রের জিনিস প্রয়োজনেও মা ব্যবহার করতে পারে না!!! পুত্রবধূর কাছে সন্তানের জিনিস, ব্যবহার করতে চাইলে হাজার রকম জবাবদিহিতা‌ দিতে হয়। পুত্রবধূর কাছে অগণিত জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হয়! পুত্রবধূর শাশুড়িকে হেয় প্রতিপন্ন অপদস্ত করেই ছাড়ে! চোখের পানি অবলীলায় খেলতে হয় পুত্রের কিছু নিতে গেলে! তারপরও প্রয়োজন পূরণ করার মতো মোটেই পাওয়া যায় না। পুত্র হোক না যতই ধনী। মা যে ফকির ফকিরই থাকে। মাকে প্রয়োজন পূরণ করতে হলে বাইরের মানুষের হস্তক্ষেপ সহযোগিতার প্রয়োজন 100 ভাগ নিতেই হয়। সন্তান মানুষ করার জন্য যেমন, দ্বারে দ্বারে চাইতে ও অপদস্ত হতে হয়েছিল। সেটা ছিলো পুত্রের জন্য চাওয়া। একই রকম নিজের জীবনের অবসরে, পড়ন্ত বয়সে, বৃদ্ধকালে চাইতে হয়। তবে এই চাওয়াটা হয় তার নিজের জন্য। নিজের জীবনের জন্য চাইতে হয় শেষ জীবনে! সেই একই রকম, সেভাবেই চাইতে হয়। পুত্রবধূর কাছে উঠতে বসতে আত্মসমর্পণ করেও মোটেই পার পাই না। ছোট হেয় প্রতিপন্ন অপদস্ত করেও যদি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয় তবু হয়। মা একটু নিস্তার আশ্রয় পায়। সেটা কিন্তু করেনা। নিজেও অপদস্ত করে। অন্যের কাছেও অপদস্ত হতে পাঠায়।‌ অথচ পুত্রবধূর শাশুড়ির গড়ে এক বছরে যে পরিমাণ ব্যয় হয়। পুত্রবধূর ব্যয় হয় সেটা একদিনে। প্রতিদিন একদিনে সেই পরিমাণ ধ্বংস করে। ময়লার ঝুলিতে রাখে, ডাস্টবিনে ফেলে। পিছন দরজা দিয়ে ঢালে। অপচয়ের মাত্রা বিনোদন বা আরো অনেক কিছুতেই আছে ঢালাঢালির অংক। যেসব তার কাছে কিছুই মনে হয় না। বাইরের অন্য সব মানুষের উপর সংসারের দায়িত্ব দিয়ে রাখে। তারা অকারনে নষ্ট করে করে সব ফেলে, বেদমে উড়াই! ওইটুকুই তো আই লক্ষন করে তার শাশুড়ি খেয়ে পড়ে বাচতে পারে।‌ কারণ পুত্রের জিনিসের উপরে তো পুত্রের মায়েরই দরদ আছে। অথচ পুত্রবধূ তাকে দূরে সরিয়ে রাখে। গুনে হিসাব করে এক টাকা দিয়ে খোটা পারে। কিন্তু তার মতোই তার রাখা পর মানুষগুলো কত ঢালে, কত ফেলে, অপচয় ও ধ্বংস করে, যেটার হিসাব মোটেই রাখে না। যার সব কিছুর উপর দরদ আছে, সেই মানুষটারই রাখে দূরে। পর করে।যার দরদ নাই, তার রাখে কাছে, আপন করে। উদারে, কাল হাবাতে, আই লক্ষত হীন, এরকম নানান মানুষের কাছে দায়িত্ব দিয়ে রাখে গোটা সম্পদ সম্পত্তির। এর নামই পুত্রবধূ। পুত্রবধু মানেই পুত্রের সবকিছু। মা যে আদারের আটি, আদারে বাদারেই থাকে। এখানেও এটা বলা যায় ‘আম দুধ এক হয়, আদারের আটি আদারেই যায়। চিরকাল মায়ের পেটে হলেও পুত্র বড় হয়ে, মাকে ফেলে দেয়। স্ত্রীকে আপন বানাই। অন্যের হাতে, অন্য পর মানুষের হাতে বা কাছে সংসার দিয়ে রাখে। স্ত্রীর মায়ের কাছেও দিয়ে রাখে। কিন্তু স্ত্রীর কথা মতো, স্ত্রীকে সন্তুষ্ট খুশি রাখতে, নিজের মাকে সরিয়ে দেয়। স্ত্রী শাশুড়ির পারে না সইতে! একটাই কারণ স্বামীর দুর্বলতা স্বামীর মা। স্বামীর দুর্বলতার জায়গায় আঘাত করতে ব্যস্ত প্রিয়তমা স্ত্রী। আর স্বামী ব্যস্ত স্ত্রীকে খুশি রাখায় এটাই তফাৎ এবং পার্থক্য। তাই স্ত্রী চায়, স্ত্রীর মাকে কাছে রাখতে। স্বামীর মাকে তাড়িয়ে দিতে। এর জন্য স্ত্রী ষড়যন্ত্রের ডাল বনে। এই ষড়যন্ত্রের পদ্ধতির প্রস্তুতি নিশ্চিত করে স্ত্রী! গবেষণা করে পাওয়া গেছে এটাই। আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ, ভারত। এর আন্তর্জাতিক সম্মেলন যার আয়োজক ভারতের কিছু রাজ্যপাল …..

Related Articles

Back to top button