বাংলাদেশ

কলাবাগান থানার সাবেক ওসি’র বিরুদ্ধে মামলা, সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

টাইমস ২৪ ডটনেট : গতকাল ঢাকার সি এম এম আদালতে দায়ের করা নালিশী মামলার ৮নং আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিফাত উল্লাহ মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২৩ জুন কলাবাগান থানার সাবেক ওসি মোক্তারুজ্জামান এর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ফিকামলি তত্ত্বের জনক, শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট ড. আব্দুল ওয়াদুদ। মামলার অন্যান্য আসামী কলাবাগান থানার সাবেক এস আই বেলাল হোসেন ও পুলিশ পরিচয়দানকারী কলাবাগান থানা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসী আব্দুল মান্নান ভূইয়া।
বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই দুপুরে হাইকোর্টের মূল ভবনের প্রবেশপথের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বলেন,
গত ২৯ এপ্রিল গভীর রাতে কলাবাগান থানার পুলিশের সহযোগিতায় একদল সন্ত্রাসী ড. আব্দুল ওয়াদুদ এর বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে।
পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা তার কাছে ০১ (এক) কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে, সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে নগদ ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। বিশেষ করে গবেষণার জন্য সংগ্রহ করা ২০ জোড়া দুর্লভ পাখি নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মুল্য ২.৫ কোটি টাকা। এসময় হরিণ ধরার চেষ্টা করলে ১টি গর্ভবতী হরিণ মারা যায়। সন্ত্রসীরা, বাদবাকি টাকা দিতে না পারলে দশটি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও প্রদান করে।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে কলাবাগান থানার তৎকালীন ওসি মোক্তারুজ্জামান, এস আই বেলাল হোসেন ও এস আই আবু হোরায়রা জিহান বরখাস্ত হয়। বরখাস্তের খবরটি ৬ মে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
ব্যারিস্টার সারোয়ার বলেন, কোন মামলা-মোকদ্দমা ও ওয়ারেন্ট, অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও, গভীর রাতে যেকোনো নাগরিকের কাছে গিয়ে পুলিশের চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায় কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ কেন সন্ত্রাসীদের নিয়ে একটি বাড়িতে ঢুকবে? পুলিশ জনগণের জান মালের রক্ষক। অসাধু কিছু সদস্য রক্ষক না হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে যা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী পুলিশ সদস্যদের কারণে মানুষের জান মাল বর্তমানে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে।
ব্যারিস্টার সরোয়ার আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ড. আবদুল ওয়াদুদ এর বাসায় বেশ কয়েকবার হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। সে সময় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা। তখন থানায় পুলিশ ছিল না। পুলিশ জান নিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু ১০ মাস পর কেন এমনটি হবে। কিছু সংখ্যক অসাধু পুলিশ সদস্যের অপেশাদারী আচরণ জনগণের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে।
এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন সহ এডভোকেট সৈয়দ আহমেদ গাজী, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম মল্লিক নিয়ামত, এডভোকেট ওমর ফারুক ও এডভোকেট সোহেল আহমেদ এবং ড. আব্দুল ওয়াদুদ, প্রমূখ।

Related Articles

Back to top button