জাতীয়

ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জেরে থাই প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

টাইমস ২৪ ডটনেট: থাইল্যান্ডের সংবিধান আদালত দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে বরখাস্ত করেছে। সম্প্রতি কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে তার একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপকে ঘিরে চাপের মুখে তিনি পদত্যাগের আহ্বানের মুখোমুখি হন।ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপটিতে পেতোংতার্ন হুন সেনকে “চাচা” বলে সম্বোধন করেন এবং এক থাই সামরিক কমান্ডারকে সমালোচনা করেন। এই অডিও ক্লিপ জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং তার অপসারণের দাবিতে একটি পিটিশন জমা পড়ে, যা বর্তমানে আদালতের বিবেচনাধীন। এখন এই পরিস্থিতিতে, পেতোংতার্ন হতে পারেন শিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি পূর্ণ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতা হারাতে যাচ্ছেন। গত দুই দশক ধরে থাই রাজনীতিতে শিনাওয়াত্রা পরিবার একটি প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
এরইমধ্যে তার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার বিপদের মুখে পড়েছে, কারণ দুই সপ্তাহ আগে তাদের প্রধান এক রক্ষণশীল মিত্র জোট ছেড়ে চলে যায়। ফলে জোটের সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাও এখন হুমকির মুখে।থাইল্যান্ডের সংবিধান আদালত ৭-২ ভোটে প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বিচারাধীন অবস্থায়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিজের পক্ষে সাফাই তুলে ধরার জন্য তার সামনে ১৫ দিন সময় আছে।এই সময়ে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তবে পেতোংতার্ন সরকার থেকে পুরোপুরি বাদ পড়ছেন না সম্প্রতি অনুমোদিত এক মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের ফলে তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকছেন।মঙ্গলবার (১ জুলাই), পেতোংতার্ন আবারও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, হুন সেনের সঙ্গে তার ফোনালাপের উদ্দেশ্য ছিল শতভাগের বেশি দেশের স্বার্থে।ফোনালাপের বিষয় ছিল থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার সীমান্ত বিরোধ। যদিও এই বিরোধ বহু দশক পুরোনো, গত মে মাসের শেষ দিকে এক কম্বোডিয়ান সৈন্য নিহত হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

 

Related Articles

Back to top button