
টাইমস ২৪ ডটনেট: যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগে ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হতাহতের সংখ্যাও বেড়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, বিরসেবায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আরও একজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ইরানের হামলায় মোট চারজন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। এর আগে এক ঘণ্টায় ইরান ইসরায়েলে ছয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই হামলায় বিরসেবায় অন্তত চারজন নিহত এবং কমপক্ষে ২২ জন আহত হন। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি এখন থেকে কার্যকর। ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর। দয়া করে এটি লঙ্ঘন করবেন না।’ এর আগে ট্রাম্প ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির দাবি করেন। কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর যুদ্ধবিরতির দাবি করেন তিনি। ট্রাম্প আরও বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে ধাপে ধাপে ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া শুরু হবে। যেখানে ইরান একতরফাভাবে সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে। ১২ ঘণ্টা পরে ইসরায়েল একই পদক্ষেপ নেবে। তবে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পরও ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছিলো ইসরায়েল। এতে ইরানের আরও এক পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। এদিকে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরে কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, তবে ইসরায়েলের আচরণ তাকে বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ করেছে।
মঙ্গলবার ভোর থেকেই দুই দেশ পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। আল জাজিরা বলছে, ইরান এক ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলজুড়ে ছয় দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বেশিরভাগ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। তবে বিরশেবার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। অন্যদিকে ইরানেও পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। সিএনএন বলছে, ইরানের রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরের দিকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল হামলার বেশকিছু ছবি যাচাই করে সিএনএন বলছে, তেহরানের মধ্যাঞ্চলের আকাশে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। এর আগে ইরান মার্কিন হামলার ‘শক্তিশালী এবং বিজয়ী’ জবাব দেয়া শুরু করেছে বলে জানায় ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সাথে সম্পৃক্ত আধা-সরকারি তাসনিম নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। কাতারে ঘটনাস্থলের তথ্য জানা গেলেও, ইরাকের কোথায় হামলা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাসনিম জানিয়েছে, ‘বিশারাত ফাতেহ’ এবং ‘ইয়া আবা আবদুল্লাহ’ নামে এসব হামলা চালানো হয়। এ হামলায় একাধিক ওয়ারহেড বা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম ‘খাইবার’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে। আইআরজিসির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি জানাচ্ছে, ‘এই প্রথমবার’ ক্ষেপণাস্ত্রটি কোনো হামলায় ব্যবহার করা হলো। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পরও ইরানে হামলা অব্যাহত রাখে
ইসরায়েল। গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর (আইএএফ) গোলাবর্ষণে ইরানের আরও এক পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভি নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। এক প্রতিবেদনে প্রেস টিভি জানিয়েছে, নিহত ওই পরমাণু বিজ্ঞানীর নাম মোহাম্মদ রেজা সিদ্দিকী সাবের। তিনি ইরানের পরমাণু প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে তেহরানের উত্তরাংশে নিজ অ্যাপার্টমেন্টে নিহত হন তিনি। নিহত রেজা সিদ্দিকী সাবের পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবে ইরানে বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। ইরানে ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থি সরকারের যেসব কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাদের মধ্যে রেজা সিদ্দিকী সাবেরও ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তা রেজা সিদ্দিকী সাবের দেশটির সামরিক বাহিনীর গবেষনা সংস্থা ‘স্পান্ড’ এর একটি প্রকল্পেরও প্রধান ছিলেন। সেই প্রকল্পটির কাজ ছিল সামরিক বাহিনীর জন্য নতুন বিস্ফোরক অস্ত্র তৈরি এবং এ সংক্রান্ত গবেষণা করা। এর আগে সংঘাত শুরুর পর ইরানের রাজধানী তেহরানে সর্বোচ্চ হামলা চালানোর দাবি করে ইসরায়েল। গত সোমবার রাতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ইফি ডেফরিন জানিয়েছেন, তেহরানে ৫০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান ১০০টি অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। হামলায় সামরিক অবস্থান এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন
এ দখলদার। তিনি বলেন, এখন তারা ইরানের সারফেস টু সারফেস মিসাইল ধ্বংস করার কাজ করেছে। যেন ইরান তাদের দিকে বেশি মিসাইল ছুড়তে না পারে। এদিকে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, তবে ইসরায়েলের আচরণ তাকে বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই ওরা ইচ্ছে করে করেছে কি না,’ বলেন ট্রাম্প। ‘তারা হয়তো নিজেদের লোকদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি।’ তবে তিনি স্পষ্ট করেন, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ইসরায়েলের ‘বোমাবর্ষণ’ তার দৃষ্টিতে চরম মাত্রার ছিল। ট্রাম্প বলেন, আমি যখন বলি ‘তোমাদের ১২ ঘণ্টা সময়’, তখন ঠিক প্রথম ঘণ্টায় গিয়ে সব কিছু (বোমা) ফেলে দেওয়াটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, মূলত আমাদের হাতে এখন দুটি দেশ আছে, যারা এত বছর ধরে এত কঠিনভাবে লড়ছে যে এখন নিজেরাই জানে না আসলে তারা কী করছে। এদিন মেরিন ওয়ানে ওঠার আগে এভাবেই নিজের হতাশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিন ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, যুদ্ধবিরতি এখনো ‘কার্যকর’। তিনি লেখেন, ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করছে না। সব যুদ্ধবিমান ফিরে আসছে এবং ফিরে যাওয়ার পথে ইরানের উদ্দেশে একরকম ‘বন্ধুসুলভ প্লেন ওয়েভ’ করছে। কেউ আহত হবে না, যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে! এর আগে গত সোমবার রাতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরান-ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। একইসঙ্গে দুপক্ষকে যুদ্ধবিরতি মানার কথা বলেন তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, সোমবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপের যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ তোলেন। আর তার প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা ইরানের সঙ্গে কথা বলেন বলেও ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ওই কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করেছেন, ইসরায়েল এই শর্তে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে রাজি হয়েছে যে ইরান নতুন আক্রমণ শুরু করবে না। তেহরান চুক্তিটি মেনে চলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বলে জানায় ওই একই সূত্র। তিনি উল্লেখ করেন যে ইরানি পক্ষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যোগাযোগ হয়েছে এবং এতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের অংশগ্রহণ ছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর পরিস্থিতি জটিল থাকা সত্ত্বেও ইরানের কিছু কর্তৃপক্ষ এটিকে নিজেদের ‘বিজয়’ হিসেবে উদযাপন শুরু করেছে। ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ বলেছেন, ‘এ ‘বিজয়’ প্রমাণ করে, ইরান এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের দম্ভ ভেঙে চুরমার দিয়েছে এবং ইরানের শক্তি কতটা, তা তাদের দেখিয়েছে।’ দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ বাকের কালিবাফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাহদি মোহাম্মাদি যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে ‘বিশাল, ইতিহাস গড়া বিজয়’ বলে অভিহিত করে উদযাপন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।’ ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরোজ কামালভান্দি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘কেউই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে নির্মুল করতে পারবে না। এটা অন্য সবার বোঝা উচিত।’ তিনি বলেন, আমাদের যে সক্ষমতা ও সামর্থ্য রয়েছে, তা বিবেচনায় নিয়ে বলতে পারি, পারমাণবিক শিল্প অব্যাহত থাকবে এবং এটিকে থামানো যাবে না।
এদিকে ইরানে ইসরায়েলের হামলায় গত কয়েক দিনে অন্তত ৬০৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে তেহরান। গতকাল মঙ্গলবার ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় ইরানে কমপক্ষে ৬০৬ জন নিহত হয়েছেন। ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা জাফরগনি বলেন, এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৫ হাজারের বেশি মানুষ। তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ইরানের এই মন্ত্রী বলেন, ইরানে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। কেবল এই সময়েই ইসরায়েলি হামলায় দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০৭ জন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেইন কারমানপোর বলেছেন, গত ১২ দিন দেশের হাসপাতালগুলো অত্যন্ত বেদনাদায়ক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। এর আগে, সোমবার ইসরায়েলি হামলায় ইরানে প্রাণহানি ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কারমানপোর বলেন, আহতদের মধ্যে এখনও ৯৭১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া ৬৮৭ জনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী শিশুর বয়স মাত্র দুই মাস। নিহতদের মধ্যে ৪৯ জন নারী রয়েছেন। যাদের দু’জন গর্ভবতী ছিলেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলায় পাঁচজন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত ও আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। হামলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাতটি হাসপাতাল, ছয়টি জরুরি সেবাকেন্দ্র, চারটি ক্লিনিক এবং ৯টি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস ইন ইরান বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসেবের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।