
টাইমস ২৪ ডটনেট: যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইরানের ওপর হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের প্রতি বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলার এই ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তার সঙ্গে কিছুটা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলেও মনে করেন তিনি। মঙ্গলবার কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি ফিল ল্যাভেল ট্রাম্পের এই মনোভাবের কথা জানিয়েছেন।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে অংশ নিতে ইউরোপ সফরের আগে ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসরায়েলের প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েল ও ইরান উভয়েই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে—এটি তাকে হতাশ করেছে।ইউরোপ সফরের আগে ইসরায়েল ও ইরান প্রসঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ল্যাভেল বলেন, ‘‘তিনি ইসরায়েল ও ইরান—উভয়ের ওপরই ক্ষুব্ধ ছিলেন। তবে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, অতিরিক্ত যে ক্ষোভ, সেটা ছিল ইসরায়েলের প্রতি।’’আল জাজিরার এই প্রতিনিধি বলেন, ট্রাম্প স্পষ্টভাবেই নেতানিয়াহুর আচরণে ‘‘ভীষণ বিরক্ত এবং হয়তো বিশ্বাসঘাতকতা অনুভব করছেন।’’যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সমর্থন নিশ্চিত করতে সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর এই চুক্তিতে ইরানকে রাজি করানোর ক্ষেত্রে কাতারের সহায়তা নেন তিনি।মঙ্গলবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘‘ইসরায়েল, বোমা ফেলা একদম বন্ধ করুন। যদি আপনারা এটা বন্ধ না করেন, তাহলে তা হবে যুদ্ধবিরতির গুরুতর লঙ্ঘন। এখনই, এই মুহূর্তে নিজেদের পাইলটদের ফিরিয়ে আনুন।’’
গত শনিবার ইরানের পরমাণু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তিনটি স্থাপনায় বোমবর্ষণ করে মার্কিন বিমান বাহিনী। পরের দিন সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে মোট ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের সঙ্গে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
সূত্র: আল জাজিরা।