topআন্তর্জাতিক

জীবন বাঁচাতে আশ্রয় খুঁজছে মানুষ

ইরান ইসরায়েল যুদ্ধ

টাইমস ২৪ ডটনেট: প্রতিদিনই বাড়ছে ইরান ইসরায়েল যুদ্ধের তীব্রতা। আর যুদ্ধের এই দামামার মাঝে জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে বেড়াচ্ছে দুই দেশেরই সাধারণ মানুষ। ইরানীরা যেমন আশ্রয় নিচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে তেমনি ইসরায়েলীরা আশ্রয় নিচ্ছে বোমা নিরোধক বাঙ্কারে। এদিকে পাল্টাপাল্টি মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে উভয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ৫ম রাতে ইসরায়ের ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা এবং হাসপাতালসহ বহু বাসাবাড়িতে বোমা হামলা করেছে। থেমে থাকেনি ইরানও। এর আগে হামলার প্রাক্কালে তেহরানবাসীকে সামরিক স্থাপনা থেকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলো ইসরায়েল। একইরকমভাবে ইরানও তেল আবিব থেকে ইসরায়েলী নাগরিকদের অন্য কোথাও সরে যাওয়ার আহবান জানায়। পরবর্তীতে সেখানে ব্যাপক ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এদিকে কোনরকম যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করে পরমাণু ইস্যুর স্থায় সমাধান দেখতে চান বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ট্রাম্পের অভিপ্রায়ের এই বাস্তবায়ন ঘটাতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বোমা হামলা হতে পারে বলে খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো। অন্যদিকে ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন জি-৭ জোটের নেতারা। তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে ইরানকে দায়ী করেছেন। তবে গত চারদিন ধরে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ দেখিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।


গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইসরায়েলে ইরানের সবশেষ হামলার নানা তথ্য আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় সময় গতকাল ভোরে ইরানের হামলার খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীও। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ৩০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। যার বেশিরভাগ প্রতিহত করার দাবি করেছে দেশটি। কিন্তু কিছু মিসাইল ‘প্রভাব ফেলেছে’ বলে স্বীকার করেছেন আইডিএফের একজন মুখপাত্র। এর মধ্যেই ইসরায়েলে একটি সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র এবং মোসাদের একটি অপারেশন পরিকল্পনা কেন্দ্র লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে ইরান। ইসলামিক রেভুল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) এক বিবৃতির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা তাসনিম এ তথ্য জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় আল জাজিরা’র প্রতিবেদনে। এর আগে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় উপকূলীয় শহর হার্জলিয়ায় একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের কথা বলা হয়েছিল, যা একটি ‘সংবেদনশীল স্থানকে’ লক্ষ্য করে আঘাত হানে বলে জানানো হয়। এছাড়া তেহরানে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি ড্রোন তৈরির কারখানা গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে ইরান। গত সোমবার ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এ তথ্য জানিয়েছে। পুলিশের মুখপাত্র সাঈদ মন্তাজের আল-মেহদির বরাত দিয়ে আইআরএনএ জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরান ও আলবোর্জ প্রদেশে অভিযান চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে মোসাদের দুই এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়। আইআরএনএ আরও জানায়, গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ২০০ কেজিরও বেশি বিস্ফোরক, ২৩টি ড্রোনের যন্ত্রাংশ, লঞ্চার ও অন্যান্য কারিগরি সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এছাড়া একটি নিসান পিকআপ ট্রাকও জব্দ করা হয়। রাতে তেল আবিব, জেরুজালেম, হাইফাসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় বেজে ওঠে সাইরেন। এরপরই খবর পাওয়া যায়, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হাইফার বৃহৎ তেল

পরিশোধনাগার স্থাপনাটি ধ্বংস হয়ে গেছে। শোধনাগার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাজান গ্রুপ জানিয়েছে, হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন এবং সব অবকাঠামোর কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। একই সময়ে বিয়ার শেভা এলাকার ডিমোনা পারমাণবিক কেন্দ্রও লক্ষবস্তু বানায় তেহরান। এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আইআরআইবির সরাসরি সংবাদ প্রচারের সময় হামলা চালায় ইসরায়েল। বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সংবাদ উপস্থাপিকা। আগুন ধরে যায় পুরো ভবনে। এরপরেই মূলত হামলার হুমকি দিয়ে ইসরায়েলের দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের কর্মী ও তেল আবিবের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয় তেহরান। রাতভর ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত ঠেকাতে ইসরায়েল নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখে। তবে একটি প্রতিরক্ষা মিসাইল উড্ডয়নের আগেই লুটিয়ে পড়ে তেল আবিবের মাটিতে। এতে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক আরও ছড়িয়ে পড়ে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা

আই.আর.এন.এ’তে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মূলত হ্যাক হয়েছিল। এ কারণেই তা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। তাবরিজ শহরে ইসরায়েলের এফ-থার্টি ফাইভ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবিও করেছে ইরান। এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনিকে হত্যার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, খামেনিকে হত্যা করা হলে যুদ্ধ বিস্তৃত হবে না বরং সংঘাত বন্ধ হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনায় ভেটো দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া পোস্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ইরান শিগগিরই পারমাণবিক চুক্তি না করলে বাসিন্দাদের তেহরান ত্যাগ করা উচিত। আর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ পরিধি বাড়াতে চায় না ইরান। তবে যেকোনো আক্রমণের পাল্টা জবাব দেয়া হবে। আর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইসরায়েলের হামলা কূটনীতির জন্য একটি বড় আঘাত।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতির পক্ষে নন। বরং ইরানের পরমাণু ইস্যুর একটি স্থায়ী ও বাস্তব সমাধান চান। কানাডায় অনুষ্ঠিত জি৭ সম্মেলন থেকে আগেভাগেই ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ট্রাম্প বলেন, আমি কখনোই যুদ্ধবিরতির কথা বলিনি। আমি চাই পুরোপুরি একটি সমাপ্তি, অর্থাৎ পরমাণু অস্ত্রের সম্পূর্ণ ত্যাগ। তার এ কথার প্রেক্ষিতে মার্কিন বাহিনী ফোর্ডোতে ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় বোমা হামলা চালাতে পারেন বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। টাইমসের মতে, কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা, ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর ব্যবহার করেই এই স্থাপনায় পৌঁছানো সম্ভব, যেখানে আমেরিকান বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে পাঁচ দিন ধরে চলা যুদ্ধের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিবেচনা করছেন। ফোর্ডোতে ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা ধ্বংস করতে ইসরায়েলকে সাহায্য করে লড়াইয়ে নামবেন কিনা। যেখানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাঙ্কার বাস্টার পৌঁছাতে পারে। যদি তিনি এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, মানে ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় বোমা হামলার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন সংঘাতে সরাসরি অংশগ্রহণকারী হয়ে উঠবে। অথচ এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলে এসেছে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি। এছাড়া এ ধরনের কোনো পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও ইরানি কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছেন যে, তাদের স্থাপনাগুলোতে হামলায় মার্কিন অংশগ্রহণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির অবশিষ্ট সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলবে, যা ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন যে তিনি এখনও অনুসরণ করতে আগ্রহী। একজন মার্কিন কর্মকর্তার মতে, এক পর্যায়ে ট্রাম্প তার মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ এবং সম্ভবত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ইরানিদের সাথে দেখা করার প্রস্তাব দিতে উৎসাহিত করেছিলেন। কিন্তু গত সোমবার ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন যে ইরানিদের অবিলম্বে তেহরান ত্যাগ করতে হবে। যা কূটনৈতিক অগ্রগতির লক্ষণ নয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। আবার সোমবার ট্রাম্প এও বলেন, আমি মনে করি ইরান মূলত আলোচনার টেবিলে আছে, তারা একটি চুক্তি করতে চায়। কর্মকর্তারা বলছেন, যদি ভ্যান্স এবং উইটকফ ইরানিদের সাথে দেখা করেন, তাহলে ইরানের সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। যিনি সোমবার একটি চুক্তির প্রতি আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, যদি ট্রাম্প কূটনীতির প্রতি আন্তরিক হন এবং এই যুদ্ধ বন্ধ করতে আগ্রহী হন, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো ফলপ্রসূ হবে। এদিকে, সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছে, জরুরি অবস্থা ক্রমশ বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কারণে ট্রাম্প গ্রুপ অফ ৭ শীর্ষ সম্মেলন তাড়াতাড়ি ত্যাগ করছেন। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, আমি এখান থেকে চলে যাওয়ার সাথে সাথেই আমরা কিছু একটা করতে যাচ্ছি। কিন্তু আমাকে এখান থেকে এখনই চলে যেতে হবে। তবে তিনি কী করতে চেয়েছিলেন তা স্পষ্ট করা হয়নি।


ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন, ইরানকে দোষারোপ জি-৭ জোটের: ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন জি-৭ জোটের নেতারা। তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে ইরানকে দায়ী করেছেন। গত সোমবার রাতে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে জি-৭ জোটের নেতারা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনারও আহ্বান জানিয়েছেন। গত শুক্রবার ভোরে ইরানে হামলা চালিয়ে দেশটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে আকাশপথে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে ইসরায়েল-ইরান পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে অঞ্চলটির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এ বছর কানাডায় বসে ৫১তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের কারণে এবারের সম্মেলন অনেকটা আড়ালে পড়ে যায়। সম্মেলন ছেড়ে আগেভাগেই দেশে ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি ঠিক কী কারণে সম্মেলন শেষে না করেই যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেলেন, তা স্পষ্ট নয়। ট্রাম্প শুধু বলেছেন, তিনি গুরুত্বপূর্ণ কারণে ওয়াশিংটনে ফিরে যাচ্ছেন। তবে তাঁর ফিরে যাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সম্পর্ক থাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন। জি-৭ সম্মেলন শেষে সাধারণত সদস্যদেশগুলো একটি যৌথ বিবৃতি দেয়। ট্রাম্প সম্মেলন শেষ না করেই দেশে ফিরে গেলেও যৌথ বিবৃতিতে সই করে গেছেন। বিবিসি এ খবর দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। আর ইরান হলো সন্ত্রাসবাদের উৎস। ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত নয়। মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার বিস্তার রোধে সংকট নিরসনের আহ্বানও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।


ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে ‘মধ্যস্থতায় প্রস্তুত’ পুতিন ও এরদোয়ান: ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে গত চারদিন ধরে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ দেখিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। দুই নেতাই আলাদাভাবে জানিয়েছেন, সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে তারা মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘সংঘাত নিরসনের জন্য রাশিয়ার আগের প্রস্তাব এখনো বহাল রয়েছে। যদিও পরিস্থিতি এখন আরও জটিল হয়ে পড়েছে।’ সমস্যা সমাধানে রাশিয়া বিবাদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলেও জানিয়েছে ক্রেমলিন। এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এরদোয়ান গত সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের অবসান ঘটাতে তুরস্ক মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনে প্রস্তুত বলে ইরানকে জানিয়েছেন এরদোয়ান।

Related Articles

Back to top button