টাইমস ২৪ ডটনেট: ইসরাইলের লাগাতার বোমাবর্ষণের মুখে ইরানের কৌশলগত বিকল্প এখন ‘অত্যন্ত সীমিত’ ও ‘নিরাশাজনক’-এমনটাই মনে করছেন সাবেক মার্কিন পরমাণু আলোচক অ্যালান আইয়ার। রোববার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ইরানকে অভ্যন্তরীণ জনমতের চাপে সেনা প্রতিক্রিয়া জানাতেই হবে, কিন্তু বাস্তবে তারা ইসরাইলে এমন পর্যাপ্ত ক্ষয়ক্ষতি করতে পারবে না, যা ইসরাইলকে হামলা বন্ধ করতে বাধ্য করবে।’
আইয়ার বলেন, ‘ইসরাইল প্রচুর পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সহ্য করার সক্ষমতা রাখে। এমনকি ইরান যদি সামান্য ক্ষতি করে, তবুও ইসরাইল থামবে বলে মনে হয় না।’তিনি আরও বলেন, কূটনৈতিক পথেও ইরানের প্রভাব সীমিত, কারণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের মিত্র কম। ‘আন্তর্জাতিক সমাজে তারা তেমন সমর্থন পাবে না। তাছাড়া ইসরাইল বারবার প্রমাণ করেছে যে, ‘ন্যায়সঙ্গত’ সামরিক লক্ষ্য পূরণের পথে তারা আন্তর্জাতিক মতামতকে খুব একটা আমলে নেয় না,’ বলেন আইয়ার।
সাবেক এই কূটনীতিক মনে করেন, ইরানের সবচেয়ে বাস্তববাদী কৌশল এখন এই সংঘাত থেকে ‘যতটা সম্ভব সম্মান রক্ষা করে বের হয়ে আসা’। তার ভাষায়, ‘ইরানের উচিত হবে যতটা সম্ভব সামান্য ক্ষতি করা, মুখরক্ষা করা এবং তারপর যখন ইসরাইল হামলা বন্ধ করবে, তখন নতুন প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে ভাবা। সেই কৌশলে হয়তো এবার তারা সত্যিকার অর্থেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে হাঁটতে পারে, শুধু সক্ষমতা ধরে রাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে। আর সেটাই হবে সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক।’
বিশ্লেষকদের মতে, যদি ইরান সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, পুরো বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
