টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: পল এলড্রিন অসি দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের সাথে নিভিরভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। দেশের নানা প্রান্তে ছুটে যান অসহায় ও দুস্থ্য মানুষগুলোর পাশে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালের বার্ন ইউনিটের পুড়ে যাওয়া রোগিদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন পল এলড্রিন অসি। অসহায় ও গরীব রোগিদের ফ্রি চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে আসছে বহু বছর ধরে। নিজের উপার্জিত অর্থের সিংহভাগ খরচ করেন সমাজের অবহেলিত, রোগাক্রান্ত, পুড়ে যাওয়া দুস্থ অসহায় রোগীদের উন্নত চিকিৎসা খাতে। এবার করোনার এই দুর্যোগ তান্ডবে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বার্ন ইউনিট এবং তার আশে পাশে সহ সাইবার সিকিউরিটির পরিবার সহ ৬৫০ টি ডেটল সাবান ও প্রায় ৩৫০ পরিবারের হতে তুলে দেন হ্যান্ড সেনিটাইজার। তিনি নিজে মোটর সাইকেল চালিয়ে গিয়ে বাড়িতে পৌছে দিয়ে মানবতার পরিচয় দেন।
“প্রাপ্তি আর্ট সাইন” এর একান্ত ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এবার পল এলড্রিন অসি মিডিয়া ও সংস্কৃতি অংজ্ঞনের সংশ্লিষ্ট ১১৮ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
বিতরনে দেওয়া হয় নিত্য প্রয়োজনীয় চাল,ডাল আলু, পিয়াজ, রসুন,তেল,লবন।
পল এলড্রিন অসি আমাদের জানান সারাদেশ আজ লকডাউন , করোনা ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে আমাদের অর্থনীতি , সাধারণ জীবনযাপন কলকারখানা সহ সব ধরনের যানবাহন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য
সবাই ঘরে থাকুন সংকল্পে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি কাজ করছি, এই পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোন সহযোগিতা চাইনি, চেষ্টা করছি আর করে যাচ্ছি শুধু মাত্র আপনাদের জন্য।
খাদ্য বিতরনের এই কাজে আমার পাশে এগিয়ে এসেছেন লিজেন্ড ডলি ইকবাল বড় আপু, সাথে সাথে চিত্রনায়িকা শাহনুর আপু, রেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফরিদ আহমেদ ভাইয়া, এবং সুরেলা কন্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর আপু।
আমরা যারা সমাজের স্বাবলম্বী এবং মধ্যবিত্ত জীবন যাপন করছি , আমরা সবাই কিন্তু কোন না কোন উপায় ঘরে থেকে বের না হয়ে জীবনযাপন করতে পারছি কারন আমাদের অভাব খুব একটা বেশি না।
কিন্তু যারা প্রোডাকশন বয়, ক্যামেরা ম্যান, বাদ্য যন্ত্রি, নৃত্য শিল্পী তারা কি করবে, কি খাবে? তাদের তো আজ কাজ নেই, কবে কাজ শুরু হবে সেটাও অনিশ্চিত। যাদের সন্তানরা প্রতিনিয়ত চেয়ে থাকে তাদের বাবা খাবার নিয়ে কখন বাড়িতে ফিরবে।আমরা কি এই সংস্কৃতি মানুষ গুলোর কথা একটু ভাবতে পারিনা। এই মানুষগুলো যেন ঘর বন্দী অবস্থায় কোনক্রমে অনাহারে না থাকে , তাদের সন্তান গুলোকে যেন রাতের বেলা না খেয়ে ঘুমাতে হয়, আমাদের উচিত তাদের জন্য কিছু করা। শিল্প কে বাঁচাতে গেলে আগে শিল্পের মানুষ গুলোকে বাঁচাতে হবে, তবেই শিল্প এবং শিল্পীর উন্নতি ঘটানো সম্ভব।