টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক শ বছরে পা দিতেন। তার জন্মদিনকে স্মরণ করে জন্মশতবার্ষিকীতে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হবে তার জন্মক্ষণ রাত ৮টায়। মঙ্গলবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজির মাধ্যমে শুরু হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পিক্সেল শোয়ের মাধ্যমে শেষ হবে এ অনুষ্ঠান। মূলত টেলিভিশনের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে ‘মুক্তির মহানায়ক’।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা অধীর আগ্রহে মুজিব বর্ষের সূচনার জন্য অপেক্ষা করে আছি। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আমরা উদ্যাপন কমিটি থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। তৃণমূল পর্যায় থেকে সারা দেশে এবং দেশের বাইরে বছরব্যাপী এসব অনুষ্ঠান পালন করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জাতীয় কমিটির সভায় স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য পুরো অনুষ্ঠান প্রক্রিয়া পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। জনসমাগম এড়ানোর জন্য জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। তবে রেকর্ড বিভিন্ন অনুষ্ঠান সব টেলিভিশন, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় একযোগে প্রচার করা হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৭ মার্চ রাত ৮টায়। সেই সময়ে আতশবাজির অনুষ্ঠান টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আমরা আশা করি দেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ পর্যন্ত এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবেন। সরাসরি সম্প্রচারের কারণে সারা বিশ্বের মানুষ এটি উপভোগ করতে পারবেন। রাত ৮টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশাপাশি ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে একযোগে দেশব্যাপী আতশবাজির অনুষ্ঠান পালিত হবে। এরপর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে লেজার শো, গ্রাফিকস ফেব্রিকেশন সম্প্রচার করা হবে। এরপর মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে।
কামাল বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা তার অনুভূতি প্রকাশ করবেন। এরপর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শেখ রেহানার লেখা কবিতা প্রধানমন্ত্রীর আবৃত্তিতে প্রচার করা হবে। বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থার প্রধানদের বাণী প্রচার করা হবে। অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে থিম সং, যন্ত্র সংগীত, শত শিশুর কণ্ঠে সংগীত। অনুষ্ঠান শুরু হবে শিশুদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। দুই ঘণ্টার অনুষ্ঠানে পিক্সেল শো, কোরিওগ্রাফিসহ আরো কিছু আয়োজন রয়েছে। এই অনুষ্ঠানের মধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবে।