লেখক : মো: জাহাঙ্গীর হোসেন (সাবেক সেনা কর্মকর্তা)
ছোটখাটো কথা, কটু কথা, কথা কাটাকাটি দু’জনায়
মুখ গোমরা করে সন্ধ্যা রাতে বিছানায়
বিছানার লোমশ আবেশে কখন যে ঘুমের ঘোরে
মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে যায় ক্ষুধায়, নাহ কেউতো ডাকে নাই ইশারায়।
এই খোকা রাগ, করেছিস, আয় না বাবা খাবার তো ঠান্ডা হলো
না, না আমি খাব না, ক্ষুধা নেই কেন বুঝ না
আবার মা আসে পাশে, হাত বুলায়, আরেকবার বললে খাব, মনে মনে বলি
মারা নাছরবান্দা, সন্তান না খেলে যে, নিজে খেতে পারে না।
পরাজয়ের মালা মারা ই গলে পড়ে, ছোট হতে নেই কুন্ঠা
সমাজ সংসারে সবাই জয়ী হতে চায়, ছোট বড় ছোট যতখানি
ভালবাসার প্রিয়জনও যে ছাড় দিতে নাছোড়বান্দা
মাতৃ জননীই ছোট হতে পারে, সন্তানকে যে সে নিজের চেয়েও ভালোবাসে অনেকখানি।
প্রিয়তমা, প্রিয়তমেষু, কত আবেগে, কত ভালোবাসায় বুকের পরে
স্বার্থের মাপকাঠিতে একটু হেরফের হলেই
নিজহিস্যা বুঝে নিতে কুন্ঠা নেই বদ্ধপরিকর
মা ই যে নির্দিধায় স্বার্থ বলিদান দিতে পারে কেবলই।
কত সাধে, কত মায়য়া, কত আশায়, প্রিয় জনরে নিয়া বাধি ঘর
নিখাদ ভালোবাসা মায়ের মত কি হয় কারো কাছ থেকে
সময় পরিক্রমায় ব্যতিব্যস্ত সবাই সবাইকে নিয়ে
মাগো কেন চলে যাও তোমরা সন্তানদের একা রেখে।
প্রভাব, প্রতিপত্তি, সম্পদ, সন্তান-সন্ততি
সময়ের পরিক্রমায় হয়ত সবই পাওয়া যায়
মা যে চিরজীবনই বুকের কোমল স্পন্দন
মায়ের চলে যাওয়া কেমনে মেনে নেব হায়।