এস.এম.নাহিদ, টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা : অর্থ পাচার মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ ৭ পলাতক আসামিকে ধরতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন হাইকোর্ট।মঙ্গলবার ২৫/০২/২০ইং তারিখে বিচারপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে আইজিপি, র্যাব ও ডিআইজিকে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।ইতিপূর্বে ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানসহ নয় জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-১০। পাশাপাশি আসামিদের ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৩ টাকা জরিমানা করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানা যায়,বিসমিল্লাহ গ্রুপের প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১২ মামলায় ৫৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। সবগুলো মামলাতে আসামির তালিকায় আছেন খাজা সোলেমান চৌধুরী। দুদকের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, আত্মসাৎ করা টাকার মধ্যে রয়েছে ফান্ডেড দায় (স্বীকৃত বিলের বিপরীতে) ৯৯০ কোটি ৩ লাখ এবং ননফান্ডেড অর্থের পরিমাণ ১৮৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের ভবন কর্পোরেট শাখা থেকে ফান্ডেড ৩০৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ও ননফান্ডেড ২৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, মগবাজার শাখা থেকে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ ফান্ডেড ও ননফান্ডেড এক কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং এলিফ্যান্ট রোড শাখা থেকে ফান্ডেড ১৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বিসমিল্লাহ গ্রুপ।
এছাড়া প্রাইম ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ফান্ডেড ২৬৫ কোটি ৪০ লাখ ও ননফান্ডেড ৬১ কোটি আট লাখ টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ফান্ডেড ২৩ কোটি ২২ লাখ ও ননফান্ডেড ৩৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যমুনা ব্যাংক দিলকুশা শাখা থেকে ফান্ডেড ১০৮ কোটি ৪৪ লাখ ও ননফান্ডেড ৪৬ কোটি দুই লাখ টাকা এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ইস্কাটন শাখা থেকে ৯৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা ফান্ডেড ও ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ননফান্ডেড হিসাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।