টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অসহায় মানুষের পাশে থাকা একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে গর্ভের। জন্ম-মৃত্যু সবই সৃষ্টিকর্তার হাতে, পুলিশ বাহিনীর কোন সদস্যই সেবামূলক কাজ করতে ভয় পায় না। করোনায় আক্রান্ত রোগী কিংবা এ সময়ে কাউকে সাহায্য করা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।
করোনার হাত ধরেই মানবিক পুলিশ বাহিনীর নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে। করোনাকালে পুলিশ তার দায়িত্বের বাইরে গিয়ে এমন সব কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে, যা অতীতে খুব একটা দেখা যায়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অসহায় মানুষদের খাদ্যসাহায্যেও হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, মারাও গেছেন। করোনাকালে পুলিশের জনকল্যাণকর ভূমিকা মানুষের প্রশংসা পাচ্ছে। পাশাপাশি লকডাউন এলাকায় পাহারা বসানো, কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের নজরদারি করা, আক্রান্ত রোগীকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া, মৃত ব্যক্তিদের দাফন বা সৎকারে সহায়তার কাজও করে যাচ্ছে পুলিশ। সরকারি ত্রাণ যাতে চুরি না হয় সে ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখছে পুলিশ। সব মিলিয়ে করোনার এই দুর্যোগে পুলিশের এক নতুন মানবিক ভাব মর্যাদা গড়ে উঠেছে।
তবে করোনাকালে বাংলাদেশের মানুষ মানবিক ও কল্যাণমূলক পুলিশের একটি বহিঃপ্রকাশ দেখেছে। এ ধরনের পুলিশিং আগামীতে ধরে রাখতে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা, যে কোনো নির্মম নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে পুলিশ সদস্যদের দূরে থাকা, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ায় পুলিশের জোরালো ভূমিকা রাখা, বিট পুলিশিংয়ের মধ্য দিয়ে পুলিশি সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানো ও পুলিশের কল্যাণ নিশ্চিত করাই হচ্ছে বাংলাদেশে পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদের টার্গেট।