গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হয়েছে ৩৪১ জন পেয়াজ আমদানিকারককে। পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও কেনো হু হু করে দাম বাড়লো, তা বের করতে শুল্ক গোয়েন্দাদের এই তৎপরতা।
সংস্থার মহাপরিচালক জানিয়েছেন, সোম এবং মঙ্গলবার বড় আমদানিকারকদের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। গত সাড়ে ৩ মাসে আমদানি হওয়া পৌনে দুলাখ টন পেঁয়াজ কতো দামে কাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে, মজুদ আছে কতোটা সব বের করা হবে।
মঙ্গলবার এনবিআর চেয়ারম্যানের নির্দেশ না পাওয়ার সাথে সাথেই পেঁয়াজ আমদানিকারকদের তথ্য সংগ্রহে মাঠে শুল্ক গোয়েন্দারা। এরই মধ্যে ১লা আগষ্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন বন্দর দিয়ে খালাস হওয়া পেঁয়াজের আমদানি মূল্য, পাইকারী এবং খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে দামের ওঠা-নামা, সেই সাথে নেপথ্য কারন নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দারা দেখেছেন, বাংলাবান্ধা, ভোমরা, হিলি, সোনা মসজিদ, টেকনাফ স্থল বন্দর এবং বেনাপোল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা কাস্টমস হাউজ দিয়ে ৬শ’৬০ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৬ মে. টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ৩শ’ ৪১ জন আমদানিকারক এই পেঁয়াজ এনেছেন।শুল্ক গোয়েন্দারা মনে করছেন, বড় ব্যবসায়ীদের আগের মজুদ এবং কৃষকের ঘরের পেঁয়াজ সব মিলে বাজারে সরবরাহে বড় কোন সংকট হওয়ার কথা নয়।