টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তা, মুক্তিযোদ্ধা, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করছি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও তিন কন্যা রেখে গেছেন। তার এই অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। দেশের আর্থিক বিকাশে তার আরও অনেক কিছুই দেয়ার ছিল। কিন্তু মরণঘাতী ভাইরাস তাকে চিরতরে থামিয়ে দিল। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।
দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে মানুষের কর্মসংস্থানে নুরুল ইসলামের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যমুনা গ্র“প প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি অসামান্য মেধা, শ্রম, দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে ধাপে ধাপে গড়ে তোলেন ৪১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য- যমুনা ফিউচার পার্ক, যমুনা টেলিভিশন এবং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা। তার প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোয় লক্ষাধিক মানুষ কর্মরত রয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রাইভেট সেক্টরের যে ভূমিকা, তাতে যমুনা গ্রুপ বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু তার অকাল প্রয়াণে যে শূন্যতার সৃষ্টি হল, তা পূরণ হোক- সেটাই কাম্য। একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা হয়েও তাকে বিভিন্ন সময় নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ সবকিছুকেই হাসিমুখে বরণ করে তিনি সাফল্যের সঙ্গে জীবনের পথ তৈরি করে এগিয়ে গেছেন।
সদাহাস্যোজ্জ্বল, কর্মীবান্ধব, বিনম্র এই মানুষটির সঙ্গে আমার আর দেখা হবে না, ভাবতেই মন খারাপ হচ্ছে। আমাদের সবাইকেই একদিন না একদিন বিদায় নিতে হবে। কিন্তু এভাবে এমন প্রস্থান গভীর বেদনার। আমি মনে করি, তার কর্মই তাকে বাঁচিয়ে রাখবে। পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা- তিনি যেন তাকে বেহেস্তবাসী করেন।
লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা; সংসদ সদস্য; সভাপতি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
সূত্র: যুগান্তর।