লেখক : মো: জাহাঙ্গীর হোসেন (সাবেক সেনা কর্মকর্তা)
ইয়া আল্লাহ, ইয়া দয়ালু, ইয়া পাক পরওয়ার দিগার
তোমার বান্দা পাপি, তাপি বড়
তুমি দেখাও না দয়ার আধার।
ইয়া রাব্বুল আল আমিন, ইয়া গাফুরুর রাহিম
পথহারা আজ তোমার কিছু বান্দা
তুমিই পরাক্রমশীল, তুমিই না রহিম।
ইয়া সর্বশক্তিমান, ইয়া দিন দুনিয়ার মালিক
মাফ করে দাও সকল বান্দারে
কি আর চাইব এর চেয়ে অধিক।
ইয়া আল বাতিন, ইয়া দয়ালু
তোমার বান্দার ভুলের যে শেষ নাই
তুমি দেখাও মোদের আলো।
ইয়া আল হামীদ, তুমিই একমাত্র প্রশংসার যোগ্য
আমাদের মন তো দাম্ভিকতায় ভরা
আমাদের করোনা অযোগ্য।
ইয়া আল মাজিদ , তুমিই তো সবচেয়ে সম্মানিত
নিজেদের সম্মান নিয়ে যে মোরা অহংকারী
করনা মোদের অপমানিত।
তুমিইতো আশ-শহীদ , প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষাত দাতা
মোরা গুনাহগার
উদ্ধার কর মোদের, তুমিই তো পরম ত্রাতা।
তুমিইতো আল-ওয়াকীল, একমাত্র কার্যনির্বাহক
মোরা যেন কেউ বেকার না থাকি
মোদের হইও তুমি সহায়ক।
হে আল-মতীন তুমিতো মহা শক্তিধর
সাময়িক শক্তি পেয়ে মোরা যে শক্তি দেখাই
মাফ করে, করো তুমি মোদের পারাপার।
হে আল-ওয়ালি, তুমিতো বিপদে একমাত্র বন্ধু
সুসময়ে ভুলে যাই তোমায়
দেখিওনা মোদের বিপদের মহা সিন্ধু।
হে আল-মুহসী তুমিইতো হিসাব সংরক্ষণ কারী
হিসাবের থাতা বুঝি মোদের ফাঁকা
হতে পারি যেন সঠিক হিসাবের সরবরাহকারী।
হে আল-বাকী , তুমি ই অবশিষ্ট থাকবে এ ভূবনে
আমরা নস্যাৎ ক্ষুদ্র অতি
পাপ, পঙ্কিলতা আসে না যেন এ জীবনে।
হে আল-রশীত, তুমিওতো সত্য
মোরাতো পারিনি সত্যের পথ সদা অনুসন্ধানে সার্থক হতে
তুমিই মোদের পথ দেখাও আমৃত্যু।
তুমিই তো আস–সবূর, পরম ধৈর্যশীল
মোদের ধৈর্য্য যে বড় ভঙ্গুর
জানি তুমি পরম ক্ষমাশীল।
তুমিইতো আল–জামি, মহান সমাবেতকারী
আমরা যে বড় বিশৃঙ্খল
হতে দিও না মোদের বিভেদকারী।
তুমিই তো আল–ওয়ালি, অধিকার বিস্তারকারী বাদশাহ
মোরা দ্বীন, দরিদ্র বান্দা তোমার
কর তুমি মোদের সমীহ।
হে আল –মুতা’আলী – সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান
দূর্বল চিত্ত, দূর্বল বাহুবল
একটু কর মোদের শক্তিমান।
হে আল–বা’ইস, কিয়ামত দিবসে পুনরুত্থান কারী
মোরা বড়ই ক্ষণস্থায়ী
তুমিতো জানি উদ্ধারকারী।
হে আল–বার, তুমিতো পরম বন্ধু
হিংসা, কাতরতায় মোরা জর্জড়িত
দাওনা শিখিয়ে, বন্ধুত্বের পরম সিন্ধু।
হে আল-তাওয়াব তুমিই তো তওবা কবুলকারী
মোরা গোনহগার , মোরা পাপি
তওবা করতে যেন না হই অহংকারী।
হে আল –মুবদি, তুমিইা তো সব বস্তুর প্রথম স্রষ্টা
সৃষ্টির পাশাপাশি মোদের চরাচর
দেখাওনা সঠিক পথ, হে দ্রষ্টা।
হে আল-মুঈদ, তুমিই তো পুনরুত্থান কারী
মৃত্যু জানি অবধারিত
সঠিক পথে চলতে করতে পারি যেন চেষ্টা।
হে আল –মুহাই মিন – তুমিইতো জীবনের শ্রষ্টা
সৃষ্টির রহস্য মোরা কতটুকু জানতে পেরেছি
মোরা যে নাদান, ভোলা, সহসা।
হে আল-মুমীত, তুমিতো মৃত্যুদাতা
কার মৃত্যু কোথায় কেমনে
মৃত্যুর আগে, মানুষে মানুষে যেন থাকে একতা।
হে আল –হাইই, তুমিইতো চিরঞ্জীব
মৃত্যুর ভয়ে কেন যে মোরা অত ভিতু নই
মৃত্যুর দুয়ারে করোনা মোদের কষাঘাত।
হে আল ওয়াজিদ, তুমিইতো প্রকৃতধ্বনি উদ্ভাবনকারী
অতি ক্ষুদ্র কিছু উদ্ভাবন করি
তাতেই যেন না হয়ে যাই অহংকারী।
হে আল মাজিদ, তুমিইতো একমাত্র সম্মানিত ও গৌরবান্বিত
আমাদের তুমি, মাথা উচু বাঁচার শক্তি দাও
করে তোল তুমি মোদের মহিমান্নিত।
হে আল-ঘানি তুমিইতো প্রকৃত ধ্বনি
দীন-দরিদ্র, কাঙ্গাল মোরা
জীবন চালাতে পারি যেন, শুনে তোমার বানী।
হে আল-মুনতাক্বিম, তুমিইতো শাস্তিদাতা
লোভে, মোহে, করেছি পাপ
মাফ কর হে মোদের বিধাতা।
হে আল-আফো-তুমিই তো ক্ষমাশীল
কত ভুল, পদে পদে মোদের
তুমিই তো সব মোদের, তুমিই তো দয়াশীল।
হে আল-রউফ – তুমিই তো অতিশয় সদয়
অহংকারে মাঝে মাঝে মোরা বড় নিঠুর
ক্ষমা করে দিও, হইও না মোদের প্রতি নির্দয়।
হে মালিক আল-মোল্ক – তুমিই তো বিশ্ব জনের মালিক
ছোট্ট ঘর বানিয়ে চাকচিক্যে মোহিত মোরা
আত্ম গর্বে হই না যেন, মোরা দিক-বিদিক।
হে ডু-আল-জালাল-ওয়া আল – ইকরাম তুমিইতো সব প্রভাব প্রতিপত্তির মালিক
ক্ষুদ্র পরিসরে প্রভাবে মোদের কি দাম্ভিকতা
ক্ষমা কর মোদের, দেখাও পথ সঠিক।
হে মুক্বসিত – তুমিইতো ন্যিায় বিচারক
সঠিক বিচার যেন কিছুটা আমরাও ক্ষুদ্র পরিসরে করতে পারি
সঠিক পথে হওনা মোদের সহায়ক।
হে আল মুঘনি – তুমিই তো ধরনীর শ্রষ্ঠা
ইহলোকে ক্ষুদ্র ধনের অহমিকা মোদের
ভুল না করে , তোমার পথে চলার করতে পারি যেন চেষ্টা।
হে আল-মানি – তুমিইতো ধনী ও নির্ধন সৃষ্টিকারী
যেমনই আছি, তেমন থেকেই যেন শুকরিয়া আদায় করতে পারি
মোরা যেন মানব জীবনে হতে পারি, একে অপরের সহকারী।
হে আল-দার – তুমিই তো অনিষ্টের মালিক
মোদের সকল কাজে যেন ঈমান বলবৎ থাকে
এক আল্লাহ এ বিশ্বাস রেখে, পথ যেন থাকে সঠিক।
হে আল – নাফি – তুমিই তো একমাত্র লাভ দান কারী
লাভ ক্ষতির হিসাবে মোরা বড় ব্যতিব্যস্ত
তোমার নির্দেশ পালনে, হতে পারি যেন আত্যেৎসর্গকারী।
হে আল-নূর – তুমিতো আলো
সঠিক ভাবে যেন নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত দিতে পারি
জীবনে যেন মোদের না আসে কালো।
হে আল-হাদী – তুমিই তো পথ প্রদর্শক ও হেদায়েদকারী
ভুল পথে মোরা ভুলেই চলেছিলাম
সঠিক পথে ফিরিয়ে আন মোদের , করোনা মোদের অপরাধী।
হে আল বাদী – তুমিই তো প্রথম অস্তিত্ব দানকারী
তোমার কৃপায় বেঁচে আছি মোরা
শত ঝড়- ঝঞ্ঝায় কৃপা করতে হওনা সহকারী।
হে আল – ওয়ারিস – তুমিইতো সকল সম্পদের একমাত্র উত্তরাধিকারী
ইহলোকের সম্পদে বেশিরভাগ লোক ব্যস্ত
মোরা যেন হতে পারি পরোপকারী।
হে আল – ওয়াহিদ – তুমিই তো অদ্বিতীয়
তোমার কৃপার মহিমার আলো চাই
কোন কারনে তোমার কাছে হইনা যেন অপ্রিয়।
হে আল – সামাদ – জানি তুমি কারো ধার ধারো না
মোরা যে অধম, তোমার কাছে বড়ই অক্ষম
আমাদের তুমি, কখনো দয়া থেকে বঞ্চিত করো না।
হে আল-ক্বদির, তুমিই তো শক্তিমান
সত্য সুন্দরের বাণী নিয়ে যেন বাঁচতে পারি
হতে পারি যেন মোরা জীবন পথে সত্যিকারের আগুয়ান।
হে আল মুক্বাতাদির – সর্ব শক্তির উদ্ভাবক
পারি না মোরা লুকাতে মোদের অহংকার
তোমার ইবাদতে হতে পারি যেন একাকার।
হে আল – মুক্বদ্দিম, তুমিই তো সব অগ্রগামী কর
কত ভুল পথে চলেছিলাম মোরা, কত ভুল পথে চলছি
পিছিয়ে যেন না পরি মোরা , ভাল পথ দেখাও আরো।
হে আল – মুআক্ষির – তুমি চাইলেই পিছনে ফেলে দাও
দয়া করে ক্ষমা কর মোদের
সঠিক পথের দিশা দাও।
হে আল-আউয়াল – তুমিইতো আদি
প্রজন্ম হতে প্রজন্মে অনেকের ভুল ভ্রান্তি ছিল
করে দাও তুমি মোদের খাটি মুসলিম।
হে আল – হক, তুমিই তো মহা সত্য
মিথ্যাকে আকড়ে ধরে অনেকেই আমরা বেঁচে আছি
ফিরতে পারি যেন দুয়ারে নিয়ে সৎ পথ।
হে আল কোয়াওই – তুমিইতো প্রবল পরাক্রমশালী
দয়া কর, ক্ষমা কর মোদের
মোরা যেন না করি অসুন্দরের সাথে মিতালী।
হে আল আখির – তুমিই তো মোদের অন্ত
ক্ষন কালের এই ছোট্ট জীবন দিলে তুমি
তোমার দেখানো পথে যেন থাকতে পারি শান্ত।
হে আল – জহির – তুমিই তো প্রকাশ্য
গোপনে গোপনে কত পাপ মোদের
ক্ষমা করে মোদের, কিয়ামতের দিন করো সহাস্য।
হে আল কাইওম – তুমিই তো চির স্থায়ী
তোমার কৃপায় অস্থায়ী ঘর এ ভুবনে
জান্নাতের দেখা দেখিও মোদের, চিরতরে চিরস্থায়ী।
হে আল্লাহ – তুমিই তো সার্বভৌমত্বের একমাত্র অধিকারী
কত সময়ইতো মিথ্যা কথা বলি
হই না যেন পথোহারা ব্যভিচারী।
হে আল-রহমান – তুমিই তো পরম দাতা ও দয়ালু
মাঝে মাঝে মোরা কর্কশ, কন্টক হয়ে যাই
দেখাও মোদের তোমার পথের আলো।
হে আল মালিক – তুমিই তো রাজাধীরাজ
তোমার বান্দা বড় অবুঝ, কৃপার তরে হাহাকার
দয়া করে তুমি কাছে টেনে নাও, তুমিই তো মোদের মাথার তাজ।
হে আল কুদ্দূস – তুমিই তো সব ত্রুটি থেকে পবিত্র
অপবিত্রতায় অনেকের মাথামাখি জীবন
তোমার কৃপায় কর মোদের আবৃত।
হে আস – সালাম, তুমিই তো একমাত্র শান্তিদানকারী
অশান্তিতে বিশ্ব চরাচর
মানুষকে করে দাও মানবতার অধিকারী।
হে আল-মু’মিন – তুমিইতো একমাত্র নিরাপত্তাদানকারী
মুসলিম বিশ্ব আজ অনিরাপত্তায় জর্জড়িত
তুমিই তো একমাত্র কৃপা দানকারী।
হে আল-আযীয- তুমিই তো মহা সম্মানিত
এই জগতে খাটো করো না মোদের
হয়ে যাই না যেন মোরা অহমিত।
হে আল-জাব্বার তুমি তো বাদশা, যা খুশি করতে পার
মোরা যেন তোমার নির্দেশিত পথে চলি
আমাদের তুমি ক্ষমা করো।
হে আল – মুতাকাব্বির – তুমিইতো অহংকার ও গৌরবের মালিক
বড় দুঃখী বড় অসহায় মোরা
পথ দেখাও মোদির সঠিক।
হে আল – খালিক্ব, তুমিইতো দৃশ্যমান যাবতীয় জিনিসের সৃষ্টিকর্তা
মোরা যে অধম দীন ভিখারী
তুমিইতো মোদের মহান কর্তা।
হে আল-বারি – তুমিই তো রুহ এবং যাবতীয় জিনিসের সৃষ্টিকর্তা
কি আছে মোদের তুমি ছাড়া বল
তুমিই তো মোদের মহান বিধাতা।
হে আল-মুসউয়ির – তুমিই তো আকার আকৃতি দানকারী
রূপের বড়াই করি মোরা ক্ষন কালে
হই না যেন কখনো অহংকারী।
হে আল-গাফ্ফার- তুমিই তো অনেক বড় ক্ষমাশীল
ক্ষমার অযোগ্য অনেক পাপী মোরা
তুমিই তো মহান দয়াশীল।
হে আল-ক্বহহার – তুমিই তো প্রভাব বিস্তারকারী মহা শক্তিধর
রোগে শোকে মোরা জরাজীর্ণ
তুমিই তো সকল ক্ষমতার আধার।
হে আল-ওয়াহহাব – তুমিই তো অনেক বড় দাতা
দু’ হাত পেতে তোমার ক্ষমার অপেক্ষায়
জানি তুমি ছাড়া মোদের নেই কোন ত্রাতা।
হে আল-রাযযাক্ব – তুমিই তো রুজি ও রিজিক দানকারী
জগৎ সংসারে অভাবে জর্জরিত মোরা
করনা মোদের সৎ পথের দিশারী।
হে আল-ফাত্তাহ – তুমিই তো দরজা খুলে দাও বিদ্যা, বুদ্ধি, ও রুজির
অনেকেই মোরা জ্ঞানপাপী ও মূর্খতা করেছি
ক্ষমার তরে যে আজ মোরা বড় অধীর।
হে আল-আলীম – তুমিইতো সর্বজ্ঞ, তুমিই তো সবজান্তা
গোপনে গোপনে কত পাপ কারো কারো
জীবনে যেন না আসে কোন মন্দা।
হে আল-ক্ববিদ – তুমি তো ইচ্ছা করলে যাকে খুশি ছোট করতে পার
ভুল পথে অনেকে চলেছি বহুদুর
সত্য সুন্দরের পথে দয়া কর।
হে আল-বাসিত – তুমিই তো যাকে ইচ্ছা বড় কর
অতি ছোট মোরা অতি ছোট
কৃপা কর, আল্লাহ কৃপা কর।
হে আল-খাফিদ – তুমিইতো অবস্থার অবনতি কর
বড় অভাবী মোরা
আমাদের তুমি দয়া কর।
হে আল রাফি – তুমিইতো উন্নতি দান কর
রোগে শোকে ভারাক্রান্ত
হে মহান, তুমি ক্ষমা কর।
হে আল মু’ইয্ব – তুমিই তো সম্মান দানকারী
সম্মান হীন বেচে থাকা দুরহ
দয়া কর মোদের, মোরা তো তোমারি।
হে আল – মুঝিল – তুমিই তো আপদস্থকারী
ক্ষুদ্র জীবন ক্ষুদ্র এ ক্ষন
মোরা যে, বড় দয়া ভিখারি ।
হে আস – সামী – তুমিইতো সবকিছু শোন
গোপনে গোপনে কত কানাকানি
মোরা গুনাহগার তুমি জান।
হে আল – বাসীর – তুমিইতো সব কিছু দেখ
আমরা অনেকে যে মহাপাপী
পরকালে মাফ করে, সুখে শান্তিতে রেখ।
হে আল হাকাম – তুমিইতো একমাত্র আদেশ দানকারী ও আইন প্রণেতা
তোমার আইনের শাসনে অনেকে বিতশ্রদ্ধ
ক্ষমা কর মোদের, এ যে মোদের অজ্ঞতা।
হে আল-‘আদল্ – তুমিই তো ন্যায়পরায়ণ ও ন্যায়বিচারক
অন্যায় অবিচারে কতজন জর্জরিত
তোমার দোতিই যেন হয়, মোদের সহায়ক।
হে আল-লতীফ – তুমিইতো একমাত্র সূক্ষদর্শী
মোরা যে চোখ থাকতে অন্ধ
মোরা যেন হই তোমার পথের পারদর্শী।
হে আল-খবীর – তুমিইতো গোপন খবরের মালিক
ছোট ছোট গোপন খবরে মোরা অহংকারী
বিভ্রান্ত করে পাঠিওনা মোদের দিক বিদিক।
হে আল-হালীম – তুমিইতো অতিশয় ধৈর্যশীল
আমাদের তুমি ধৈর্য দাও
মোরা যেন না হই কখনো অধৈয্যশীল।
হে আল আযীম – তুমিইতো মহান
ক্ষুদ্র প্রাণে দয়ার কাঙ্গাল মোরা
জীবনে দাও না সততার প্রাণ।
হে আর গ’ফূর – তুমিই তো অতিশয় ক্ষমাশীল
না জেনে না বুঝে ভুল করেছি
জীবন মোদের করে দাও সুশীল।
হে আশ-শাকূর – তুমিই তো সঠিক কর্ম সম্পাদনকারী, কৃতজ্ঞতার প্রতিদানকারী
অসৎ কর্মে অনেকে পথ হারিয়েছি
সৎ পথে করনা মোদের অধিকারী।
হে আল-আলিই – তুমিই তো অতি বড় মহান
অতি ক্ষুদ্র সৃষ্টি তোমার মোরা
করো না মোদের কোন কারনে অপমান।
হে আল কবীর – তুমিই তো সবচেয়ে বড়
তোমার কৃপার দয়ার কাঙ্গাল
মোদের অসীম দরিয়া পার কর।
হে আল হাফীয – তুমিই তো সবকিছু সংরক্ষনকারী
তোমার দয়ায় এ ভূবনে বসবাস
মোরা যেন হতে পারি পরোপকারী।
হে আল – মুক্বীত – তুমিই তো সবার রুজি উপার্জনকারী
তোমার কৃপায় ধন্য মোরা
মোরা যেন না হই অহংকারী।
হে আল-হাসীব – তুমিই তো সবার হিসাব গ্রহনকারী
কি হিসাব দিব কিয়ামতে, জানিনা হে আল্লাহ
মানবতাকেই যেন ঊর্ধ্বে ধরতে পারি সর্বোপরি।
হে আল-জলীল – তুমিই তো অতি বড় মর্যাদাশালী
সম্মানে যেন বিদায় নিতে পারি মহান
মোরা যেন হতে পারি তোমার আদেশে সমৃদ্ধশালী।
হে আল-করীম – তুমিই তো বড় দাতা
অভাব অনটনে জীবন চলে না মোদের
চাই যে দয়া হে মোদের ত্রাতা।
হে আল-রাক্বীব – তুমিই তো গোপন ও প্রকাশ্যে সবজান্তা
সকল ভুল তুমি ক্ষমা কর
তোমার দয়ায় পথে চলতে পারি যেন সর্বদা।
হে আল-মুজীব – তুমিই তো করুন প্রার্থনা শ্রবনকারী
জীবনের পথ যে ভুলে, লোভে গেল
জীবনে যেন আর মোরা, অসৎ পথ না ধরি।
হে আল-ওয়াসি – তুমিইতো বিশাল, তুমিই তো অফুরন্ত
ক্ষুদ্র জ্ঞানে যেন পথহারা না হই
আমলনামা পরিপূর্ণ করতে দিও থাকতে জীবন।
হে আল-হাকীম – তুমিই তো সর্ব শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী
অতি ক্ষুদ্র জ্ঞাননিয়ে মোরা যেন আহামরি ভাব না করি
তোমার কৃপায় হতে পারি যেন গুণী।
হে আল ওয়াদূদ – তুমিই তো প্রেমময়
তোমার কৃপায় মহিমার পরশ চাই
অনন্তকাল জীবন যেন হয় বেহেস্তময়।